জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ও এর বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রছাত্রীদের হলগুলোতে চুরির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন দাবি করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, যা বিগত ৩০ বছরে চেষ্টা করেও সমাধানের পথ সুগম হয়নি। তবে, সম্প্রতি আমরা তা বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়েছি। বর্তমানে এ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাছে সবচেয়ে আগে অগ্রাধিকার পায়। তাই শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে, হলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় স্থানে সিসি ক্যামেরা, লাইট ও নিরাপত্তাকর্মী জোরদার করেছি। যা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হলগুলোতে সহকারী প্রভোস্টের সংখ্যা বাড়িয়েছি। যাতে নিরাপত্তার কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে। শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না থাকেন। সেজন্য সবসময় নিজেদের ও সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের শিক্ষকদের সচেতন থাকতে হবে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মো. আলমগীর কবীর বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে হলের শিক্ষার্থীদের ড্রাগমুক্ত করার প্রচেষ্টায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি ও ধারাটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সবসময় সজাগ ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। তাদের মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টরা সর্বদা দৃষ্টি রাখছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রক্টরিয়াল বডি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. জায়েদা শারমিন বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সবসময় নজরদারি রাখছি। আমরা হাউস টিউটরদের নির্দেশ দিয়েছি। যেকোনো জরুরি কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে জানানোর জন্য। কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো বিষয়ে দ্বিধাবোধ করি না। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট ড. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা রাত-দিন তফাৎ না করে তাদের প্রয়োজনে সাড়া দিই। বর্তমানে হলের সার্বিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে বলে যোগ করেন শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট ড. মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এএটি