মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রুম টু রিড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে প্রাথমিক স্তরে পড়ার দক্ষতা ও অভ্যাস উন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি ছাড়া একদিকে যেমন পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব নয়, অন্যদিকে তেমনি পাঠাভ্যাসের মাধ্যমেই কেবল শিক্ষার্থীদের পড়ার দক্ষতা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গাণিতিক মেধার উৎকর্ষ সাধনের জন্য আগামী বছর থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণিত অলিম্পিয়াড চালু করা হবে। গণিত অলিম্পিয়াড প্রয়োগ কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। ইতোমধ্যে পাইলটিং পদ্ধতিতে দেশের ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণিত অলিম্পিয়াড চালু করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষা আবশ্যক। আর বিজ্ঞান শিক্ষার মূল স্তম্ভ গণিত। বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশাল একটি অংশ মূলত গণিতকে ভয় পেয়ে সরে আসে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই গণিতভীতি দূর করার জন্যই গণিত অলিম্পিয়াড চালু করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়াতে এবছর সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চালু হয়েছে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি। এর আওতায় প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি ও একটি করে বাংলা শব্দ শেখানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচি সফল হলে শিক্ষার মান আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এএফএম মনজুর কাদির, রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এবি/এসআরএস