ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ তৈরি করে আবারও প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলে জানান তারা।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ফারজানা ইসলাম উপাচার্য হিসেবে আর কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি চলছে, উপাচার্য অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো আন্দোলন দমানো বা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কাউকে দমাতে চাইলে তাকে শিবির বলা বা স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ দেওয়া হলো ক্ষমতাসীনদের পুরোনো অপকৌশল। আমরা বুয়েটে দেখলাম আবরার নামে ছেলেটাকে শুধু শিবির বলে হত্যা করে ফেলা হলো। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের করা চুক্তিগুলোকে যৌক্তিক জায়গা থেকে বিরোধিতা করেছিল। আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য শিবির ‘নাটক’ সাজানো হলো।  

রায়হান রাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল, তাকে ধরে শিবির বানানো হলো। প্রাক্তন কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জনের যোগাযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু এর দ্বারা প্রমাণ হয় না যে, আন্দোলনের সঙ্গে সে যুক্ত আছে। এ আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, সাংস্কৃতিক জোটসহ বামপন্থী, আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সমন্বয়ে। এ সর্বদলীয় সংগঠনের মতামতের ভিত্তিতে আন্দোলন চলছে।  

তিনি বলেন, কোথাকার একজনকে প্রক্টিরিয়াল টিম ধরলো আর তাকে আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিভিন্ন জনের সঙ্গে করা কনভারসেশন একসঙ্গে করে জুড়ে দিয়ে চলমান আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রায়হান রাইন বলেন, তবে কার কী পরিচয় কিংবা কে শিবির করে সেটা বের হলেই প্রমাণ হয়ে যায় না যে, ফারজানা ইসলাম দুর্নীতি করেন নাই। ফারজানা ইসলামের দুর্নীতি ঢাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে পথ বেছে নিয়েছে, তা হলো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, আন্দোলনকারীদের শিবির ট্যাগ দিয়ে প্রশাসন আবারও বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করেছে। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করার পায়তারা করছে। তাদের এ পায়তারা সফল হবে না। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।