বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির তেজগাঁও ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, নজরুল সঙ্গীতের সুরে মুখরিত গোটা ক্যাম্পাস। চলছে দেশাত্মবোধক গান ‘কুলহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে’।
অনার্স শেষবর্ষের ছাত্র ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, বর্তমান ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্ত। ভিসির আত্মীয়কে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে সবার যোগসাজশে কমানো হয়েছে প্রয়োজনীয় সিজিপিএ’র হার। নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানে উন্মুক্ত বিদ্যাচর্চার সুযোগ নেই। কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটি নেই, সাংস্কৃতিক চর্চা নেই, নেই কোনো ধরনের ক্লাব। শিক্ষার্থীরা একটা উদ্যোগ নিলে সেখানে প্রশাসনের কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। আমরা চাঁদা তুলি আর সেই অনুষ্ঠানও করতে হয় ক্যাম্পাসের বাইরে।
প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জাহিদ হোসাইন বলেন, ২০১৯-এর স্প্রিং সেশন থেকে সেমিস্টার ফি প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এত টাকা নেওয়া হলেও শিক্ষার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নেই এখানে। নয়তলার ছাদ থেকে পানি পড়ে। বৃষ্টি হলে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে হয়।
এসব সমস্যার সমাধানসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- সম্প্রতি চাকরিচ্যুত ১০ শিক্ষককে স্বপদে বহাল, ক্লিয়ারেন্স ফি বাতিল করা, শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া অর্থের পুরো হিসাব প্রকাশ এবং অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনসহ সাংস্কৃতিক ক্লাব ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের অনুমতি দেওয়া।
এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক না হলেও ট্রেজারার ও ডিন আমানউল্লাহ বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র। তবে, সব দাবি মানার দাপ্তরিক আদেশ না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এসএইচএস/একে