বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ইউজিসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপন জাতীয় কমিটির সমন্বয়ক অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এডুকেশন এর প্রতিনিধি রাশেদা কে চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম এ মান্নান এবং ইউসেপ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক তাহসিনা আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছে জাতির পথপদর্শক। তারা সঠিক কাজ করতে না পারলে সমাজ অন্যভাবে চালিত হবে। একজন ভালো শিক্ষক সমাজে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
শিক্ষকদেরকে শতভাগ অঙ্গিকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকরা দেশের ভবিষ্যৎ নির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া, তিনি ছাত্র-শিক্ষক সর্ম্পক বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বরোপ করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান ভালো না হওয়ার কারণে শিক্ষার ওপরের স্তরের মান কাঙ্ক্ষিত হচ্ছে না। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে না।
সমাজে শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষকদেরকে তিনি গাইড বই পড়ানো ও কোচিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পরীক্ষা-কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা সমাজে সমস্যা তৈরি করছে বলে তিনি জানান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শিক্ষার আনন্দময় পরিবেশ ও নৈতিক শিক্ষার ওপর তিনি গুরুত্বরোপ করেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম এ মান্নান বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় হ য ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি কার্যকরী পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, ইউজিসিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। দেশের ৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে ইউজিসি কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ ৭২’এর ইউজিসি দিয়ে দেখভাল করা সম্ভব নয়। ইউজিসিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়ে একটি উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। শিক্ষায় সংস্কার ও জবাবদিহিতা আনায়নে এটি জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার সর্বাধিক বরাদ্দ প্রদান করবে। কারণ, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে মানবসম্পদ উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএমএস