শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়।
সূচি অনুযায়ী, ২ নভেম্বর থেকে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ নভেম্বর।
এদিন কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা পিএম পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু।
এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। যাদের হাত নেই তাদের জন্য দেওয়া হবে শ্রুতি লেখক।
গত ১০ বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ২০১০ সালে এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০২ জন।
এবছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯২ বেশি।
অষ্টম শ্রেণির সব শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে। এজন্য নির্বাচনী বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হয়নি। পাশাপাশি বৃত্তি পরীক্ষাও দিতে হবে না।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২শ মিটারের মধ্যে শিক্ষক-ছাত্র, কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন ও জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন। জেএসসি পরীক্ষায় বিশেষ এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী দুই লাখ ১১ হাজার ৩৩২ জন ও জেডিসিতে ২১ হাজার ৯৭৮ জন।
২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ছাত্র ১০ লাখ ৪২ হাজার ৯০৭ জন, ছাত্রী ১২ লাখ ১৭ হাজার ৮০৯ জন। মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ২২৪টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ১৬৬টি।
এর মধ্যে জেডিসিতে ছাত্র এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৮ জন, ছাত্রী দুই লাখ ২২ হাজার ১৭৮ জন। মোট চার লাখ ৯৬৬ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৫৮টি। প্রতিষ্ঠান নয় হাজার ৯৬ টি।
সবমিলিয়ে এবছর জেএসসি ও জেডিসিতে মোট ছাত্র সংখ্যা ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন, ছাত্রী সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন। মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৯৮২ টি। এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৯ হাজার ২৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করার জন্য কেউ যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য, মিথ্যা প্রশ্নপত্র তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এবছর বিদেশে মোট নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, ত্রিপলি, দোহা, সাহাম, বাহরাইন, আবুধাবি ও দুবাইয়ে। বিদেশের কেন্দ্রগুলোর মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৫৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি