সোমবার (০৪ নভেম্বর) শিশু একাডেমি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) প্রধান অতিথি হিসেবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রহমত আলী এবং প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন রুম টু রিড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অপারেশন ডিরেক্টর বদরুজ্জামান খান। বক্তব্য রাখেন রুম টু রিড বাংলাদেশের সাক্ষরতা কর্মসূচির পরিচালক জিল্লুর রহমানও।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, রুম টু রিড তার কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের পঠন দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। শিশুদের লেখাপড়ার উন্নয়ন, স্কুলের উন্নয়নে সর্বপরি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী যেন রিডিং পড়তে পারে সেই লক্ষ্যেকে সামনে রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
রুম টু রিডের প্রোগ্রাম অপারেশন ডিরেক্টর স্বাগত বক্তব্যে মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়ন এবং শিক্ষালাভের জন্য শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ও শিশুবান্ধব পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে চলমান কর্মসূচি ত্বরান্বিত করে শিশুদের দক্ষ ও স্বাধীন পাঠক গড়ে তুলতে রুম টু রিড বাংলাদেশ প্রাথমিক স্তরের বাংলা বিষয়ের শিখন-শেখানো কার্যক্রমে সহযোগিতা করে আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রহমত আলী পড়ার অভ্যাস গঠনে শ্রেণিকক্ষ পাঠাগারের গুরুত্ব নিয়ে বলেন, শ্রেণিকক্ষ পাঠাগার স্থাপন করে রুম টু রিড শিশুদের পড়ার অভ্যাস এবং দক্ষতার উন্নয়নকে আরেক ধাপ এগিয়ে দিলো। যা সত্যি প্রসংশার দাবিদার। সেইসঙ্গে তিনি শিক্ষকদের প্রমিত ভাষায় কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন।
রুম টু রিড একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। যা বর্তমানে ঢাকা জেলায় ২৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ পাঠাগার স্থাপন, শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ প্রকাশনা ও সরবরাহের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে শিশুদের পঠন দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। সাক্ষরতা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় তিন লাখ শিশুর সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ