খুলনার কয়রা উপজেলার বারপোতা গ্রামের দিনমজুর মোশারফ হোসেন সরদারের ছেলে ফারুক। তার দুই বোনের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী।
দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে খুবিতে চান্স পাওয়া ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে এসেছি। এ জন্য গ্রামের বাড়ি ও খুলনা শহরে দিনমজুরের কাজ করেছি। শিক্ষকরাও আমার পড়ালেখা চালাতে সহযোগিতা করেছেন। এখনও দিনমজুরের কাজ করছি। যা আয় করি তার বেশিটাই প্রতিবন্ধী বোনের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে গত দুইদিন কোনো কাজ করতে পারিনি। খুবিতে চান্স পেয়ে খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু ভর্তির টাকার চিন্তায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ২১ নভেম্বর থেকে ভর্তি শুরু হবে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থের অভাবে ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে এ কথা ভাবতেই পারছি না বলে কেঁদে ফেলেন ফারুক।
টাকার অভাবে ফারুকের স্বপ্ন আজ ভেঙে যেতে বসেছে। এ অবস্থা কাটাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কেউ একটু সাহায্য করলে হয়তো তার বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করার সম্ভব।
ফারুকের প্রতিবেশি সরকারি নর্থ খুলনা কলেজের প্রভাষক জিএম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বসতভিটা ছাড়া ফারুকের আর কিছু নেই। একটি প্রতিবন্ধী বোন রয়েছে ওদের সংসারে। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফারুক মেধার পরিচয় দিয়েছে। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালিয়ে কোনো মতে লেখাপাড়ার খরচ জোগাড় করেছে সে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১৫ হাজার টাকা লাগবে তার। অসহায় পরিবারটি এখনও সে টাকাটা জোগাড় করতে পারেনি।
এ শিক্ষক বলেন, ফারুক অসম্ভব মেধাবী। ভর্তি পরীক্ষার ফরম কেনাসহ বিভিন্ন সময় আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সহযোগিতা করেছি। সমাজের বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি, সরকারি বা বেসরকারি দাতা সংস্থা পাশে দাঁড়ালে ফারুক তার স্বপ্নপূরণ করতে পারে।
মেধাবী শিক্ষার্থী ফারুককে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৯২৫৩৮৩৭৫১ (বিকাশ) নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২ , ২০১৯
এমআরএম/এইচজে