নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে সব প্রধান ‘শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ এর ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩০২৩০ টাকা) এবং সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন। নতুন কাঠামোতে সহকারী শিক্ষকেরা বেতন গ্রেডে একধাপ এগিয়ে গেলেন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন করে আসছিলেন। এই দাবিতে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন তারা। বেতন বৈষম্য নিরসনে গত ২৮ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বেতন বৈষম্য নিরসন করে গত ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের বাস্তবায়ন-১ অধিশাখা থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়।
অর্থ বিভাগের এই চিঠির পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের কোনো বৈষম্য থাকলো না।
২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১) এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১৩০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ছিল।
অর্থ বিভাগ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১) নির্ধারণ করে দিয়েছে।
অপরদিকে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ছিল ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল ছিল ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকের উভয় ক্ষেত্রেই বেতন স্কেল ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)-তে উন্নীত করেছে অর্থ বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি আদেশ জারির তারিখ থেকে শিক্ষকদের উন্নীত বেতন গ্রেড কার্যকর হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. বদরুল হাসান বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন করতে অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণ বিহীনদের ১৩তম গ্রেড হওয়ায় বর্তমান অবস্থায় প্রায় ১২ বছর চাকরি করে এই গ্রেডে আসতো। এতে তারা ১২ বছর এগিয়ে থাকলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ