একইসঙ্গে তিনি তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে দাবি করে অভিভাবক ও রাজনৈতিক হীন স্বার্থে উসকানিদাতাদের সতর্ক হতে বলেছেন।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে অপরাধীদের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় আনা হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও আমরা মনে করি সেখানে আন্দোলনের নাম করে অপরাজনীতি করার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে, যারা মাঠের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
আবরার ফাহাদ হত্যা নিয়ে সৃষ্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি বিষয় নির্দেশ দিয়ে কঠিন অবস্থান নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছিলেন। অপরাধীদের গ্রেপ্তার শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তারপরও সেখানে দেখা গেল অচলাবস্থা। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জনগণের টাকায় পড়াশোনা করে। আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি অন্যদেরও সঠিক সময়ে শিক্ষাজীবন শেষ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেখানে অচলাবস্থা চালু করার জন্য আমাদের সন্তানদেরকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সেটি করার মাধ্যমে আমাদের সাধারণ ছাত্রদের জীবন বিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের এক আইনজীবীর মাধ্যমে তার সন্তানকে দিয়ে বুয়েটে আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে দাবি করে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য যারা নিজের সন্তানকে ব্যবহার করছেন তারা সাবধান হোন। সন্তানের প্রতি অভিভাবক হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ করুন। অন্যের সন্তানকেও শিক্ষাজীবন শেষ করার সুযোগ দিন। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তারপরও কেন সেখানে অচলাবস্থা থাকবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা নভেম্বর ১৯, ২০১৯/আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা
এসকেবি/জেডএস