বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র বুঝিয়ে না দেওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে ওই সময়ে কলেজের ছাত্র শাখায় নিয়োজিত থাকা দুই কর্মচারীকে।
১৩ বছরেও সেই রেকর্ডপত্র বুঝিয়ে দিতে পারেনি তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিষয়টি প্রাপ্ত ওই নোটিশ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে ১৫ এপ্রিল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন তাদের এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, কলেজের ফিজিওলজী বিভাগে স্টোর কিপার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং স্টোর কিপার নাদিরুজ্জামান।
কারণ দর্শানোর নোটিশে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন, ছাত্র শাখায় দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র জাহাঙ্গীর ও নাদিরুজ্জামানের কাছে সংরক্ষিত ছিল। ছাত্রশাখা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সময় রেকর্ডপত্র দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মচারীর কাছে হস্তান্তর করেননি বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ছাত্র শাখায় বর্তমানে দায়িত্বরত কর্মচারী উচ্চমান সহকারি রেজাউল করিম। তাদের এই দুজনের কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী চাকরি বিধি পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণ ব্যাখাসহ ওই রেকর্ডপত্র পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ছাত্র শাখায় দায়িত্বরত উচ্চমান সহকারি রেজাউল করিমের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে কারণ দর্শানোর পর পরবর্তী ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনিও রিসিভ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
এমএস/কেএআর