ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ...

সিলেট: উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত বছর (২০২০ সাল) এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল (অটোপাস) শতভাগ।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সচিব মো. কবির আহমদ।

তিনি জানান, এবার বোর্ডে মোট ৬৭ হাজার ৯৯৮ পরীক্ষার মধ্যে ৬৬ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। পাসকৃতদের মধ্যে ছাত্র ২৮ হাজার ৩০৬ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৮৮৭ জন।

আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৪ হাজার ৭৩১ জন। তন্মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ১৯৩ এবং ছাত্রী ২ হাজার ৫৩৮ জন। করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে সিলেট বোর্ডে ৭৫ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থী অটোপাস করেন।  

এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ হাজার ৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৯৫২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১২ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ২৩০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৫ হাজার ৮১৪ জন পাস করেছে। আর ছাত্রী ৬ হাজার ৭২২ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬ হাজার ২২৮ জন পাস করে। বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৯৫৬ এবং ছাত্রী ১ হাজার ৯৪৫ জন।

মানবিক বিভাগে ৪৫ হাজার ৪৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪ হাজার ৪৩৬ জন অংশগ্রহণ করে ৬২ হাজার ৭১৭ জন পাস করেছে। এ বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮ হাজার ৯৫৫ জন ছাত্রের মধ্যে ১৭ হাজার ৯৭৮ জন পাস করেন। ছাত্রী ২৫ হাজার ৪৮১ জনের মধ্যে ২৪ হাজার ৭৩৯ জন পাস করেন। মানবিকে পাসের ৯৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৪৪ জনের মধ্যে ছেলে ১৩৬ এবং মেয়ে ৪০৮ জন।

ব্যবসা শিক্ষায় ৯ হাজার ৪৪০ পরীক্ষার্থীর ৯ হাজার ২৭৩ জন অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৮ হাজার ৪৩৪ জন। তন্মধ্যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী ছেলে ৫ হাজার ৩১ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫১৪ জন এবং মেয়ে ৪ হাজার ২৪২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৯২০ জন পাস করেছেন। এই বিভাগে গড় পাসের হার ৯০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২৮৬ জনের ১০১ জন ছাত্র ও ১৮৫ ছাত্রী রয়েছেন।

আর গড় হিসেবে ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬৮ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

আর বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় ২৮ হাজার ৭৬০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ২৭ হাজার ৫৫২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ৫৫১ জনের মধ্যে পাস করেন ১২ হাজার ৮৬৫ জন। হবিগঞ্জ জেলায় ১২ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১১ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৪৮৭ জনের মধ্যে পাস করেছেন ৫ হাজার ৯৯ জন এবং মেয়ে ৬ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬ হাজার ৪৭১ জন পাস করেছেন। মৌলভীবাজারে ১৩ হাজার ৩৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১২ হাজার ১৫৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫ হাজার ৯৩ জন পাস করেছেন এবং ছাত্রীদের ৭ হাজার ৫২৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৭ হাজার ৮২ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় ১২ হাজার ৬৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১১ হাজার ৯১৬ জন। এর মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৬৬৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৫ হাজার ২৪৯ জন এবং মেয়ে ৬ হাজার ৯৯৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৬ হাজার ৬৬৭ জন।

বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৫৬৭ এবং ছাত্রী ১ হাজার ৬৩৬ জন। হবিগঞ্জে জিপিএ-৫ এসেছে ৪৪০টি। এর মধ্যে ছাত্র ১৮৯ এবং ছাত্রী ২৫১ জন। মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ এসেছে ৮৩৫টি। এর মধ্যে ছেলে ৩৫০ এবং মেয়ে ৪৮৫ জন। আর সুনামগঞ্জে ২৫৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে ছেলে ৯৩ এবং মেয়ে ১৬৬ জন।

বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, ২০২০ সালে অটোপাসে ৭৫ হাজার ৩২৩ শিক্ষার্থীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। সে বছর শতভাগ পাস হলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছিলেন ৪ হাজার ২২৪ জন। এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে শতভাগ পাসের বছরকেও ডিঙিয়ে গেছে। এবার ৪ হাজার ৭৩১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন

তিনি ২০১৯ সালে বোর্ডের এইচএসসির ফলাফল তারতম্য করতে গিয়ে বলেন, ৭৬ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৬ হাজার ২৫১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল মাত্র ৫১ হাজার ১২৪ জন পরীক্ষার্থী। ওই বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সে তুলনায় এবার পাসের হার ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। সে বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হারেও ছিল দৈন্যতা। মাত্র ১ হাজার ৯৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। সে তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বেড়েছেন ৩ হাজার ৬৩৭ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এনইউ/এনটি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।