ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে সাবেক নেতাকে পেটাল ছাত্রলীগ কর্মীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
জাবিতে সাবেক নেতাকে পেটাল ছাত্রলীগ কর্মীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছে মারধরের শিকার হয়েছেন সাবেক এক নেতা।

সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে আল বেরুনী হলের ৪৫ ও ৪৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফয়সাল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৩তম ব্যাচ ও আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।  

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের নওশাদ হোসেন সুজন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের অভিক ব্যানার্জি ও ৪৬তম ব্যাচের সোহেল রানা, ইতিহাস বিভাগের মোহাইমিনুল ইসলাম, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের জোবায়েদ আশিক, সুজন মাহমুদ, শহিদুল রনি, মোফাজ্জল হোসেন কাওসার এবং দর্শন বিভাগের আব্দুর রহিম ও রাজিবুল হক পান্থ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে নাস্তা করতে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরের সামনে যান ফয়সাল। পরে পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নওশাদ হোসেন সুজন ১০-১৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তারা ফয়সালকে ডেকে নিয়ে চত্বর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিয়ে যান। এরপর তারা সবাই ফয়সালকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করে। এ সময় ফয়সালের বান্ধবী মারধর ঠেকাতে গেলে তাকেও লাঞ্চিত করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ফয়সালকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ফয়সাল হক সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়েকমাস আগে আমি হল ছেড়ে দিয়েছি। এরপর হলের এনামুল হক (পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী) আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয় যেন ক্যাম্পাসে আমি না আসি। এর আগে একবার ক্যাম্পাসে আসায় এনামুল আমার মোটরসাইকেল আটকে রাখে। সেই জেরেই আজ ক্যাম্পাসে এসেছি বলে তার অনুসারীদের দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। '

ফয়সালের অভিযোগ, ঘটনার সময় তার বান্ধবীর গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনতাই করেছে অভিযুক্তরা।

তবে এনামুল হকের দাবি তিনি ও তার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের কেউ এ ঘটনার জড়িত নয়। এনামুল হক বলেন, ফয়সাল হল থেকে আগেই বিতাড়িত হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু ঘটনার কারণে তিনি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত। এসব কারণে তিনি আমাদের ওপর দোষারোপ করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ব্যক্তিগত কারণে মারধর হয়ে থাকতে পারে। ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগপত্র পেয়েছি। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।