ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

৭১’র গণহত্যা

আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার চান ঢাবি ভিসি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার চান ঢাবি ভিসি ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান -ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা): একাত্তরেরর ২৫ মার্চের গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ অভিমত দেন তিনি।

এসময় মোমবাতি প্রজ্বলন, শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, ২৫ মার্চের কালো রাতের বীভৎস ইতিহাসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র ঢাবি ক্যাম্পাসই হলো একমাত্র জেনোসাইড বা গণহত্যা কেন্দ্র। কারণ এই ক্যাম্পাস থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানি অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। আজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো তার দেখানো পথে, তার চেতনা ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যা তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা খুব ভালোভাবেই করছেন।

তিনি বলেন, এটি একটি অগ্নিঝরা মাস। সেদিন ঢাবির এমন কোন স্থাপনা ছিল না, যা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়নি। এই মহান মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও তার ঠিক চারদিন পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এই দু'টি ঐতিহাসিক ঘটনাই মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোয় প্রচণ্ড আঘাত হেনেছিল এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের পতনকে অত্যাসন্ন করেছিল। সেদিন তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ২৫ মার্চের রাত থেকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এদিন হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। শুধু ঢাকা শহরে নয়, অন্যান্য শহরেও এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। যার কারণে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচার স্থগিত ছিল। রাজাকার, আলবদরদের বিচার আমরা দীর্ঘদিন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশকে ১৯৪৭-এর চেতনায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এ জাতিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা শুরু থেকে করা হয়েছে। ২৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও দুটি জায়গায় হামলা করা হয়েছিল। একটি বিডিআর সদর দপ্তর, আর একটি পুলিশের সদর দপ্তর। যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চর্চা করে তাদের জায়গা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গণতান্ত্রিক চর্চা, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা যাতে বন্ধ করে দেওয়া যায় সেজন্য এই হামলা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০২২
এসকেবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।