ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার আইডিয়াল অধ্যক্ষের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার আইডিয়াল অধ্যক্ষের

ঢাকা: আইডিয়াল কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত (সাসপেন্ড) অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ অভিযোগ করেছেন, পারিবারিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সাবেক অধ্যক্ষ শামসুল আলমের সময় নিয়োগ পাওয়া কুচক্রী আত্মীয়-স্বজনরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ শামসুল আলমের সময় তার ৩৫ জন আত্মীয়স্ব-জন শিক্ষক ও ২০ কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার মধ্যে একাধিক জনের বিষয়ে তদন্ত চলছিল। যখনই তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখনই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই মেনে নেব।


সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দূরশিক্ষণের (অনলাইন) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের বিজ্ঞপ্তি বলে গবেষণা কর্মের সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ভ্যালি অ্যাপেন রাজু ও প্রফেসর ড. মিগনোনমুরের অধীনে পিএইচডি. ডিগ্রি পেয়েছি।

এ সময় তার পিএইচডি ডিগ্রির এক্সটারনাল অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশেদুল হাসান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনসহ অন্য দুই শিক্ষকের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলাম।

১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া এককভাবে অধ্যক্ষের পক্ষে কলেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একটা টাকাও উত্তোলন করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টিউশন ফি পাওয়া যায়নি। অত্র কলেজটি স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত বিধায় করোনা চলাকালে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য সে সময় এফডিআর ভাঙা হয়।

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া অপর তিন শিক্ষক হলেন- মার্কেটিং বিভাগের তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের তরুণ কুমার গাঙ্গুলী এবং গণিত বিভাগের মো. মনিরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩ জুন) অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন, ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষকরা। তার পরদিন শনিবার (৪ জুন) অধ্যক্ষ ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ৬ জুন, ২০২২
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।