ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিলেটে পিকআপ ভর্তি মাধ্যমিকের বই জব্দ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
সিলেটে পিকআপ ভর্তি মাধ্যমিকের বই জব্দ

সিলেট: ভয়াবহ বন্যায় সিলেটে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়েছে। তাই ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে মাঠ প্রশাসন।

তবে শনিবার (৩০ জুলাই) একটি পিকআপ ভর্তি মাধ্যমিকের বই জব্দ করা হযেছে। একই সঙ্গে বিনামূল্যের বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এক নৈশপ্রহরী বইয়ের চালান বিক্রি করেন। ক্রয়কারীরা সেটি নগরের কাজিরবাজার এলাকায় নিয়ে এলে পিকআপ ভর্তি বইগুলো জব্দ করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, জব্দকৃত বইগুলো গোয়াইনঘাট শিক্ষা কর্মকর্তার নৈশপ্রহরী সাহাব উদ্দিন বিক্রি করে দিয়েছিলেন। বইগুলো কেনার দায়ে আনোয়ার হোসেন নামে এক কাগজ ব্যবসায়ী ও পিকআপ চালককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ বই জব্দ করা হয়েছে, তা এখনো গণনা করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরখানেক ধরে গোয়াইনঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শ্যামল কুমারকে দিয়ে ওই পদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তিনি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা না হওয়ায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ওপর দায়িত্ব ন্যাস্ত রয়েছে। এ অবস্থায় নৈশপ্রহরী শাহাব উদ্দিন গোডাউন থেকে বইগুলো বিক্রি করে দেন।

শ্যামল কুমার বিষয়টি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানিয়ে বলেন, বই উদ্ধারের খবর পেয়ে গোডাউনে যান। নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কিছু বই বিক্রি করে দিয়েছেন।

সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ আবদুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে বলেন, তিনি প্রশিক্ষণে যোগ দিতে ঢাকার পথে রয়েছেন। বইগুলো বিক্রির কথা জানতে পেরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রতুল চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে কমিটিতে রেখেছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে।

তিনি বলেন, জানতে পেরেছি নৈশপ্রহরী বইগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। বইগুলো বন্যার পানিতে ভিজে গেলেও বিক্রি করার কথা নয়। এগুলোর অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর বিক্রি করতে গেলেও কমিটির মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়ায় বিক্রি করতে হয়।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর কবীর বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি বই বিক্রির ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।