রাজশাহী: রাজশাহীতে এক স্কুল শিক্ষিকাকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে এর সত্যতা বেরিয়ে এসেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকাসহ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে বদলি করার সুপারিশ জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত আগস্ট মাসে রাজশাহীর পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে এক সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর ঘটনা ঘটেছিল। অতি সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে ওই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তে ওই সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করানোর সত্যতা পাওয়া গেছে। আর প্রধান শিক্ষিকার ছবি দিয়ে টিকটক বানানোর বিষয়টি শিক্ষকরা দেখেছেন বলে জানালেও কেউই তার আলামত সংরক্ষণ বা প্রদান করতে পারেননি। তাই দুটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দুই জন শিক্ষককেই পৃথক স্কুলে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট রাজশাহীর পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসীর বিরুদ্ধে তার স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর অভিযোগ ওঠে। স্কুলের জমিদাতা আবদুল আজিজসহ সব শিক্ষকের সামনে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ওই ভুক্তভোগী।
পরে ওই শিক্ষিকা রাজশাহীর পবা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এরপরই ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর সূত্র ধরে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পেলে দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন হয়।
আরও পড়ুন
শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ অস্বীকার
শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এসএস/এমজেএফ