ঢাকা: আগামী ৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এতে মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন।
সারাদেশে মোট ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে।
বৃধবার (১৯ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২২ ডিসেম্বর শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা এক হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ জন ও ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ৪৪৮টি কেন্দ্রে অংশ নেবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ জন ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন। মোট ১ হাজার ৮৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৭৩টি কেন্দ্রে অংশ নেবে পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনও পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিটি আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে/সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের অনুরোধ করা হলো।
পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য
২০২২ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে দুটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয় ও ৪র্থ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে। সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হবে। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
মানবিক ও ব্যবসায় শাখা পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ৩০টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে। সময় ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
তিনি জানান, বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী ভাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি