ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিরাজগঞ্জে উপ-নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে ৯ প্রার্থী

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
সিরাজগঞ্জে উপ-নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে ৯ প্রার্থী

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যানে পদে লড়াইয়ে নেমেছেন জেলার শীর্ষ নেতাসহ নয় প্রার্থী। এখন পর্যন্ত নয় প্রার্থীর সবাই নির্বাচনী মাঠে থাকলেও সচেতন রাজনৈতিক মহলের ধারণা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হবেন তার জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

জানা যায়, সিরাজগঞ্জে গত তিনটি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। সর্বশেষ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পদত্যাগ করায় চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। উপ-নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর পদটি লাভের জন্য মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা।
 
আর প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে যাওয়ায় একটু নড়ে-চড়ে বসেছেন জেলার স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরাও। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝেও। এ নির্বাচনে ৮৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ, ৭টি পৌর পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন।  

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে এবার প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, সহ-সভাপতি টানা তিনবারের পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দিন মাস্টার ও শাহজাদপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান।  

এই পাঁচজন নেতার পাশাপাশি ভোটযুদ্ধে রয়েছেন ১৯৯০ সালের গণ-আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামছুজ্জামান আলো, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীর স্বামী শামীম তালুকদার লাবু, এপিপি অ্যাডভোকেট শওকত আলী সেলিম ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল।  

প্রার্থীরা নানা কৌশলে ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের সহযাত্রী হিসেবে স্মার্ট সিরাজগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন ভোটারদের কাছে।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম তালুকদার লাবু বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। জেলা পরিষদের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ উন্নত করতে চাই।  
অপর প্রার্থী শামছুজ্জামান আলো বলেন, ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে। তৃণমূলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই লক্ষ্যেই আমি কাজ করতে চাই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সাথে আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।  

অ্যাড. আব্দুর রহমান বলেন, আমার পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে জননেত্রীর নির্দেশিত পথে বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশের সেবক হিসেবে জনগণের কাজ করবো।  

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ৬৫ বছর ধরে এই দলের সাথে আছি। সব জনপ্রতিনিধিরা আমাকে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিয়েছেন। আমাকে দিয়ে কাজ হবে এ কথা তারা বিশ্বাস করে। আমি চেয়ারম্যান হলে প্রত্যেকটা থানার উন্নয়নে কাজ করবো।  

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ২৩ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ৯ মার্চ এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ১১৯৬ জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।