ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার বেগম রাদেশা সুলতানা বলেছেন, একটা খারাপ নির্বাচন করে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হওয়ার মোটেই ইচ্ছা নেই। সুন্দর নির্বাচন কেবল আমরা চাইলে হবে না, দলগুলোকেও একটু সংশোধনীর মধ্যে আসতে হবে।
রোববার (২৪ জুলাই) নির্বাচন ভবনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে আইন বহির্ভূত ব্যয় নিয়ে বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, কেন এতো টাকার প্রশ্ন আসবে। কেন এতো টাকা খরচ করতে হবে। তবে টাকা তো লাগবেই এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। আমরা কিন্তু তার মধ্যে থাকতে পারছি না। এটা আপনারা একটু চিন্তা করেন কেন থাকতে পারছি না। এই পরিবেশ থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থাটা সরে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে থাকা যায় বিধায় আইনে একটি নির্দিষ্ট অংক উল্লেখ করা হয়েছিল সে সময়। না হলে আনলিমিটেড করা হতো।
তিনি বলেন, কেন এখন সেই অংকের মধ্যে থাকা যাচ্ছে না। খালি আমরা একটা নির্বাচন কমিশন এই পাঁচজন মানুষ একটা নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে বসে সব সমস্যা সমাধান রাতারাতি একদিনের মধ্যে একেবারে আইন করে ফেলবো, এটা কিন্তু অসম্ভব। এটা কঠিন। কঠিন হবে না আমি মনেকরি, যদি আপনাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকে।
সাবেক এ জেলা জজ বলেন, দলগুলোকে কিন্তু একটু সংশোধনীর মধ্যে আসতে হবে, যে নির্বাচনটা সুষ্ঠু সুন্দর করার ভূমিকা সেটা তাদের মাথায় নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সবাই চাইলে এটা পারেন। সবাই মিলে একটু বসেন। চিন্তা করেন। এ পর্যন্ত যতগুলো দল আসছে সবাই বলছে নির্বাচনী ব্যয়ের কথা, তো আপনারাও একটু নিজেরা বসেন না। ব্যয়টা কমিয়ে আনি।
তিনি বলেন, কতটা পোস্টার, কতগুলো মিটিং করলে হয়, আমরা একটু কমিশনকে বলি। সবাই সমঝোতায় এসে একটা (প্রস্তাব) দেন না। এখন দল যদি মনে করে ১০টা মিটিং না করলে হবে না, এখন আমরা কি বলতে পারবো দুইটা করেন। তাহলে কি মানবেন? এটা কঠিন প্রশ্ন।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাদেশা আরও বলেন, আমরা এখানে বসছি সাংবিধানিক পদ্ধতিতে একটা ভালো নির্বাচন করার জন্য। আমাদের কিন্তু মোটেও ইচ্ছা নেই খারাপ নির্বাচন করে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হই। এই চাওয়াটা পূরণ করতে আপনারাও একটু সহায়তা করেন।
জাসদ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস