ধামরাই: সকালে ধানের শীষের কর্মীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেছেন, তো বিকেলে নৌকার লোকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যয় করতে হয়েছে দু’মিনিট। ভোটাররা কাউকে বিমুখ করছেন না।
নির্বাচনের হালচাল জানতে ধামরাই থানা রোড হয়ে প্রথমে হার্ডিঞ্জ স্কুল এলাকা, উপজেলা পরিষদ এলাকা, ধামরাই বাজার রোড ঘুরে ধামরাই বাজার থেকে বেরিয়ে কায়েতপাড়ার শেষ মাথার এক চা দোকানে গিয়ে দেখা গেলো চলছে ভোটের আড্ডা।
শুরুতেই জহির আলীর কাছে ভোটের হালহকিকত জানতে চাইলে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। ছোট ছোট মিছিল হচ্ছে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা। তাছাড়া এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- কোনোপক্ষেরই প্রচারণা নিয়ে নেই কোনো অভিযোগ।
সব প্রার্থীকেই হাসিমুখে কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ভোট চাইতে আসলে তো না করতে পারি না। তবে ভোট যারে দেওয়ার তারেই দেবো। ৩০ তারিখে তা প্রকাশ পাবে।
পাশেই বসে থাকা মো. শামছুল হক ও সুনীল রাজবংশী একত্রেই স্বীকার করলেন, এখানে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সৌহার্দ্য চমৎকার। ভোটের প্রচারণাতেও তা বিদ্যমান।
পাশেই চা পানরত অন্যরা এখানকার ভোটের হাওয়া বিএনপির দিকে বলেই সায় দিলেন। তবে পাশ থেকে কয়েকজন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কম যাবেন না বলেই জানালেন।
স্থানীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ধারণা, চিহ্নিত ও সক্রিয় দলধারী ছাড়া বাকি নীরব ভোটাররাই পাল্টে দিতে পারেন সব হিসাব-নিকাশ।
যাদের দলীয় পরিচয় নেই, কিংবা দলীয় মার্কাতেই ভোট দেবেন এমন অটুট মনোভাব নয়, তাদের নিয়েই এখন উৎকণ্ঠায় প্রার্থীরা। নীরব এই ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই কথার ফুলঝুরি ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির ফিরিস্তি দিচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধামরাই পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ১৭৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ২৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১৯ হাজার ৯১১ জন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আলহাজ গোলাম কবির মোল্লা ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র দেওয়ান নাজিমুদ্দিন মঞ্জু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার, তিনি লড়ছেন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে।
ধামরাই পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৭ জন এবং নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৯ জন। এখানে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
এএ
** নিজের পছন্দে ভোট দিতে চান নারীরা
** ধানের শীষের ভোট আছে, গ্যারান্টি নাই
** নির্বাচনী হাওয়া লাগেনি সাভারে