নাটকে ও সিনেমার দর্শকের কাছে পরিচিত অভিনেত্রী সাহেলা আক্তার। সাধারণত তিনি মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করেন।
নরসিংদীর মনোহরদী থানার সল্লাবাঈদ গ্রামের রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে তিনি। কিন্তু ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল অভিনয় করার। ২০০৯ সালে নির্মাতা মনির হোসেন জীবনের পরিচালনায় সাহেলা প্রথম নাটকে অভিনয় করেন। নাটকের নাম ছিল ‘ভবের মানুষ’।
তবে ২০০৭ সালে সাহেলা পড়াশুনা শেষ করে রাজধানীর হলিচাইল্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ২০১০ সালে মনির হোসেন জীবনেরই ধারাবাহিক নাটক ‘গুনীন’-এ অভিনয় করতে টানা ১৪ দিন শুটিং করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে স্কুলে গেলে তিনি জানতে পারেন তার চাকরি আর নেই। এরপর থেকে অভিনয়েই মনোযোগী হয়ে উঠেন সাহেলা।
মনির হোসেন ‘জীবন ছাড়া’ অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি সাদেক সিদ্দিকী, শবনম পারভীন’সহ আরো বেশ কয়েজনের পরিচালনায় নাটকে অভিনয় করেন।
সাহেলার ভাষ্যমতে, তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নাটকে অভিনয় করেছেন বিগত দেড় দশকে। তার অভিনীত প্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘এই শহরটা আমার জন্য না’, ‘চন্দ্রাবতী’, ‘কারাতে বউ’, ধারাবাহিক ‘বউ শ্বাশুড়ি’, ‘রঙের ভালোবাসা’, সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘প্রতিবেশীর ভালোবাসা’ ইত্যাদি।
সাহেলা ১৫টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘হৃদয়ে ৭১’, ‘ছায়াবৃক্ষ’, ‘কমিশনার’, ‘ভাঙ্গা মন’, ‘সীমানা’, ‘কথা দিলাম’, ‘বিয়ে আমি করবোনা’ ইত্যাদি।
জীবনে প্রথম টানা পাঁচদিন শুটিং করে তিনি ৫০১ টাকা পেয়েছিলেন। সাহেলার বাবা ফকির মাজহারুল ইসলাম ও মা রাবেয়া ইসলাম। পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র বোন তিনি।
সাহেলা বলেন, আমার অভিনয় জীবন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে এটা সত্য আমার আজকের যে অবস্থান তার নেপথ্যে মনির হোসেন জীবন ভাইয়ের অবদানই বড়। তার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কারণ তিনি সুযোগ না দিলে আমার স্বপ্ন পূরণ হত না। আরো ধন্যবাদ আমাকে নিয়ে যারা নিয়মিত নাটক নির্মাণ করেন। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তারা আমার অভিনীত নাটক দেখে আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আরো ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
এনএটি