ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

বিজয় দিবসে রবি-চ্যানেল আই বিজয়মেলা

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০
বিজয় দিবসে রবি-চ্যানেল আই বিজয়মেলা

প্রতিবারের মতো এবারের বিজয় দিবসেও চ্যানেল আই আয়োজন করছে বিজয়মেলার। ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে চ্যানেল আইর তেজগাঁও কার্যালয় চত্বরে।

এবারের মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে যুক্ত হয়েছে মোবাইল অপারেটর রবি। এই বর্ণিল আয়োজনে
আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ও অভিনেতা চাঁদ প্রবাসীকে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী বিজয়মেলায় থাকবে একাত্তরের স্মৃতিচারণ, সঙ্গীত পরিবেশনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ও নাটক। এছাড়া থাকবে বিভিন্ন ধরনের ২০টি স্টল। দিনব্যাপী  বিজয় মেলাটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করবে।

এ উপলে ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল আই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন অনুষ্ঠিত  হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, রবির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বসু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিজয় দিবসের এ মেলায় সকাল ১১টায় উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডাররা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বরেণ্য সাহিত্যিক, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বিজয়ের ৪০ বছরে ৪০টি পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করবেন তারা।

মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় থাকবে রকমারি পরিবেশনা। থাকবে ৭ বীরশ্রেষ্ঠর নামে ৭টি স্মারকস্তম্ভ এবং ১১ সেক্টরের স্মরণে বৈঠকখানা। ২০টি স্টলের মধ্যে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থমালা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, পানসুপারী, মেলা কমিটি, মিডিয়া কর্নার ও অন্যান্য স্টল। প্যাভিলিয়নের মধ্যে থাকবে কেকা ফেরদৌসীর রান্নাঘর।

বিজয়ের চিত্রাংকন করবেন দেশের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীবৃন্দ। চিত্রমালা বিক্রয়ের অর্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উন্নয়নের জন্য দান করা হবে। থাকবে শিশুদের চিত্রাংকন। উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠানে অংশ নেবে ছায়ানট, ক্রান্তি, সুরের ধারা, সুর সপ্তক, নৃত্যাঞ্চল, ধ্র“বতারা, খেলাঘর, বহ্নিশিখা, ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী ও অন্যান্য সংগঠন। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীসহ নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা। কবিতা  আবৃত্তি করবেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত লোকশিল্পীরা নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২৫০, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।