ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

শুরু হলো মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১১
শুরু হলো মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক পঞ্চম আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অয়োজিত এই উৎসব চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।



প্রবীণ আলোকচিত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্রগ্রাহক আবদুল হামিদ রায়হান ৫ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে এ উৎসব উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ের তোলা ছবিগুলোর নেগেটিভ আমি অনেক কষ্টে সযত্নে রেখেছি। আজ দেশের মানুষ সেগুলো দেখছে। এ দেশে বারবার পরাজিত পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা নানারূপে ঘুরে-ফিরে এসেছে। তাদের পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বাতিঘর। তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে।

উৎসব পরিচালক ফওজিয়া খান বলেন, স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এবারের উৎসবের মূল কেন্দ্রে থাকবে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গত পাঁচ বছর ধরে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে। এবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর। এই মহেন্দ্রণ উদযাপন করা হবে এবারের উৎসবের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব মফিদুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এ দেশের জনমানুষের জাদুঘর। খুব শিগগিরই আগারগাঁওয়ে জাদুঘরের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ট্রাস্টি রবিউল হুসাইন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। এই যুদ্ধ চলবে।  

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অনিন্দ্য আতিক পরিচালিত ‘আবদুল হামিদ রায়হান’কে নিয়ে ২৫ মিনিটের একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া প্রদর্শন করা হয় প্রজেক্ট কাশ্মীর ও দি বিস।

এবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় দুটি বিভাগ থাকছে। আন্তর্জাতিক বিভাগে ১২টি এবং বাংলাদেশ বিভাগে ১৩টি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ ও ৭ জানুয়ারি বিশেষ প্রদর্শনী থাকবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা, বিকেল ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টায় চারটি অধিবেশনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী চলবে।

এবারের উৎসবেই প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে শেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া তরুণ নির্মাতার জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার। উৎসবের শেষ দিন ৮ জানুয়ারি তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচারক দল বাংলাদেশে নির্মিত মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্রকারের নাম ঘোষণা করবেন। বিচারক দলের প্রধান শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। সদস্য কাইজার চৌধুরী ও চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ।

বাংলাদেশ সময় ২০৫০, জানুয়ারি ৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad