যে কণ্ঠে গান ছিলো, সে কণ্ঠে এখন বাঁচার আকুতি। যারা এতোদিন স্বীকৃতির গান শুনে মুগ্ধ হয়েছে, তার গান যাদেরকে হাসিয়েছে; তারা এখন নীরবে কাঁদছে।
গতকালও (৩১ আগস্ট) স্বীকৃতি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছি। খুব কষ্ট পাচ্ছি। এ যুদ্ধে আমি জিততে পারবো কিনা জানি না। ’
একটি কণ্ঠ, মেধা এভাবে অকালে হারিয়ে যাবে; সেটা কেউ চান না। স্বীকৃতির এই দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন-শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক তথা সংগীতাঙ্গনের সবাই।
রোগটা ধরা পড়েছে হঠাৎই। স্বীকৃতি গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরাই তাকে জানান ক্যানসারের কথা। জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতেও বলা হয়। কিন্তু চিকিৎসার খরচ অনেক। এতো ব্যয়বহন করার সামর্থ্য তার পরিবারের নেই। বাধ্য হয়ে তাই গত ২৮ আগস্ট দেশে ফিরে এসেছেন স্বীকৃতি।
স্বীকৃতি দীর্ঘদিন ধরে যেখানে আছেন, সেই সংগীতাঙ্গনের সবাই মিলে উদ্যোগ নিয়েছেন চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর। প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বলছেন, ‘চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। এটা ব্যয়বহুল হলেও অসম্ভব নয়। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বীকৃতির পাশে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, ওর চিকিৎসা সফলভাবেই সম্পাদিত হবে। ’
স্বীকৃতির জন্য আরো এগিয়ে এসেছেন বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর, সুরকার ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, স্বীকৃতি দীর্ঘদিন ধরে গান করছেন। তার ৮টি একক অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। আছে ৫০টিরও বেশি মিশ্র অ্যালবাম। অসংখ্য চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫
কেবিএন/