পোর্শে স্পোর্টস কার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হলিউডের প্রয়াত অভিনেতা পল ওয়াকারের কন্যা মিডো ওয়াকার। গতকাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগে মিডোর দাবি, যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই গাড়িটি বাজারজাত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কার্পণ্য লক্ষণীয়। যদি তা থাকতো তাহলে গাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস হতো না, তখন ওয়াকারকে আহত অবস্থায় হলেও জীবিত উদ্ধার করা যেতো।
২০১৩ সালের নভেম্বরে পোর্শে ক্যারেরা জিটি গাড়িতে সহযাত্রী ছিলেন পল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার বন্ধু রজার রোডাস। তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সান্তা ক্লারিটায় একটি গাছ ও পিলারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এরপর ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, পোর্শের কর্মকর্তারা জানতেন এই মডেলের গাড়ি যে কোনো সময় বিগড়ে যেতে পারে আর তখন এটা নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে পড়বে। সিট বেল্টও ডিজাইন করা হয়েছে পেছনের ইঞ্জিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখে। এ কারণে দুর্ঘটনার পরপরই পল উল্টে গিয়ে আটকে পড়েন। পরে ময়নাতদন্তে তার পাঁজর ভাঙার নমুনা পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর অগ্নিসংযোগ ঘটার আগ পর্যন্ত পল জীবিত ছিলেন বলেও দাবি মিডোর।
পোর্শের কোনো মুখপাত্র এই মামলা নিয়ে এখনও মন্তব্য করেননি। তবে জার্মান প্রতিষ্ঠানটির অ্যাটর্নি গত এপ্রিলে জানান, এই দুর্ঘটনার জন্য রোডাসই দায়ী। তার সহধর্মিণী গত বছর পোর্শের উত্তর আমেরিকান ইউনিটের বিরুদ্ধে মামলা করলে এমন কথা বলেন অ্যাটর্নি। গাড়িটিতে কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি থাকার কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ বিভাগ ও ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে প্যাট্রল অনুসন্ধানে দেখেছে- যান্ত্রিক সমস্যা নয়, অনিরাপদ গতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে অনুসন্ধানকারীরা পোর্শের বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ানদের পরামর্শ নিয়েই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে।
পলের আকস্মিক মৃত্যুতে ‘ফিউরিয়াস সেভেন’ ছবির কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে গিয়েছিলো। পরে তার ছোট ভাই কোডি ওয়াকারের সহায়তায় দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
জেএইচ