শন কনারি থেকে ড্যানিয়েল ক্রেগ, লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে পাশাপাশি রাখা হলো জেমস বন্ড চরিত্রের ছয় অভিনেতার মোমের মূর্তি। সেগুলো দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন রোজ।
আর কিছুদিন পরেই মুক্তি পাবে বন্ড সিরিজের ২৪তম ছবি ‘স্পেক্টর’। এ উপলক্ষে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিলো। ছয় সপ্তাহ মেয়াদী প্রদর্শনীটির জন্য প্রতিটি মূর্তির গায়ে দেওয়া হয়েছে কালো রঙা টাক্সেডো। তাদের মধ্যে শন কনারি, রজার মুর ও জর্জ ল্যাজেনবির হাতে আছে পিস্তল। এক হাত পকেটে ভরে দাঁড়িয়ে আছেন পিয়ার্স ব্রসনান ও ড্যানিয়েল ক্রেগ। এ ছাড়া আরামে দাঁড়ানো টিমোথি ডালটন।
ছয় বিখ্যাত অভিনেতার মূর্তি তৈরিতে কাজ করেছেন ২০ জন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর। সময় লেগেছে চার মাস। খরচও হয়েছে ব্যাপক। তবে কাজটি সম্পন্ন করতে পেরে খুশি মাদাম তুসো কর্তৃপক্ষ। তাদের জেনারেল ম্যানেজার এডওয়ার্ড ফুলার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এবারই প্রথম যে কেউ এক জায়গাতেই যার যার প্রিয় জেমস বন্ডের পাশে দাঁড়াতে পারবে। আমরা কাজটা করতে পেরে আনন্দিত। ’
১৯৬২ সালে ‘ড. নো’ ছবির মাধ্যমে প্রথম জেমস বন্ড হিসেবে পর্দায় আসেন শন কনারি। তবে তার মূর্তি বানানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ ছবির একটি মুহূর্ত। ল্যাজেনবি একটি ছবিতেই (অন হার ম্যাজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিস) কেবল বন্ড হয়েছেন। রজার মুরের ভঙিটি নেওয়া হয়েছে ‘দ্য স্পাই হু লাভড মি’ থেকে। টিমোথি ডালটন ছিলেন দুটি ছবিতে (দ্য লিভিং ডেলাইটস, লাইসেন্স টু কিল)। ব্রসনানের মুহূর্তটি ‘টুমরো নেভার ডাইস’ ছবির। আর ক্রেগের মূর্তির জন্য বেছে নেওয়া হয় বন্ডের আগের ছবি ‘স্কাইফল’-এর দৃশ্য।
স্যাম মেন্ডেস পরিচালিত ‘স্পেক্টর’ যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাবে আগামী ২৬ অক্টোবর। আর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহে এটি চলবে ৬ নভেম্বর থেকে। এতে ক্রেগের সহশিল্পী মনিকা বেলুচ্চি, লেয়া সেদু, ক্রিস্টোফ ওয়াল্টজ, নাওমি হ্যারিস, স্টেফানি সিগম্যান, র্যালফ ফাইনেস, বেন হুইশো প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
জেএইচ