‘ওই দিনগুলো আমায় ভীষণ টানে’- বলতে বলতে ওমর সানি ২০১৫’র ২১ অক্টোবরের দুপুরে বসে, ফিরে গেলেন পুরনো দিনে। বছর দশেক আগেও গ্রামের বাজারে, মফস্বলে, ফুটপাতে কিছু ফেরিওয়ালার দেখা মিলতো।
সেদিনগুলো ক্ষয়ে গেছে। দাপিয়ে জেঁকে বসেছে ইন্টারনেট, মোবাইলের দিন। ভিউকার্ড এখন স্মৃতিবাহক। সম্প্রতি এক ভক্ত ওমর সানিকে একটি ভিউকার্ডের ছবি পাঠিয়েছেন। তাতে সেই ‘স্বর্ণালি’ সময়ের ওমর সানি-মৌসুমী জুটি, দাঁড়িয়ে আছেন ফিল্মি ঢঙে। সেটি দেখে বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছেন, পোস্ট করলেন ফেসবুকে, তারপর বাংলানিউজকে বললেন, ‘ওই সময় এমনও হয়েছে, যারা ভিউকার্ড ফেরি করেছে, ওদেরকে বলেছি, তোমরা এসব ছবি অনুমতি না নিয়ে বিক্রি করছো কেনো? ওরা খুব করুণ কণ্ঠে বলতো- ‘বস, এগুলো দিয়েই আমরা সংসার চালাই। ’ পরে আর কিছু বলিনি। মায়া লাগতো। ছবিই তো বিক্রি করছে, আমার কিডনি তো আর বিক্রি করছে না!’
ওমর সানি ঢাকায় থাকেন। দামি গাড়ি চড়েন। মোবাইল থাকে সঙ্গে সবসময়। ঘুরে বেড়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। কিন্তু মনটা তার এখনও পড়ে আছে পুরনো দিনে, চিঠি-ডাকবাক্সের যুগে। বলছেন, ‘আমরা যতো আধুনিক হচ্ছি, সামাজিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। কোনোদিন যদি এমন হয়, মোবাইল-ইন্টারনেট না থাকে, চিঠির যুগ ফিরে আসে; কেউ খুশি না হোক, আমি হবো। ওই সময়ের যে আন্তরিকতা, সেটা এখন আমরা পাই কই!’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ