কুঁড়েঘরের বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে উদাস বসে আছেন যিনি, তিনি কিন্তু পিয়া-ই। জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।
ক’দিন ধরে এমন বেশে পিয়াকে দেখা যাচ্ছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মাড়েয়া গ্রামে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) থেকে সেখানে কাজ করছেন ‘শেষ প্রহর’ চলচ্চিত্রের। অধুনালুপ্ত ছিটমহলে মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করে, তাদের সংগ্রাম, বেঁচে থাকার যন্ত্রণা- সবই উঠে আসবে এর গল্পে। দীর্ঘদিন ধরে যেখানে বাস, যে ঘরে-উঠোনে-বারান্দায়; সেটি ছেড়ে অন্যখানে স্থানান্তরিত হওয়ার বেদনাও ছবিটির গল্পের অন্যতম প্রধান বিষয়।
পিয়া ‘শেষ প্রহর’-এর রেনুবালা। মেয়েটি বিধবা। ভাই নরেন বাড়ৈ, বউদি প্রীতিবালার সঙ্গে থাকে রেনু। অভাবের সংসার। দীর্ঘদিনের ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র যেতে কেউই চায় না। পিয়া বলছেন, ‘এই ধরণের চরিত্রে আগে কখনও কাজ করিনি। সমস্যা একটু হচ্ছে। কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। চরিত্রটি আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন অভিজ্ঞতা। ’
ছবিটিতে নরেন বাড়ৈ চরিত্রে আছেন শিমুল খান, আর তার স্ত্রী প্রীতিবালা হয়ে আছেন মৌসুমী হামিদ। প্রথম কিস্তিতে পঞ্চগড়ে দৃশ্যধারণ চলবে ছয়দিন। আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ