ভেতরে যখন মঞ্চ প্রস্তুত, তখনও ভরে ওঠেনি ফোক ফেস্টিভ্যালের দর্শক-আসনগুলো। দর্শক ঠিকই এসেছেন, বলা চলে দলে-বলে-মিছিলের মতো এসেছেন।
সবাই যখন বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন, প্রবেশ করছেন, বসে আছেন গান শোনার আশায়; মঞ্চে হাজির একদল নৃত্যশিল্পী। হাতে তাদের বৈঠা। ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে’। পল্লবী ডান্স সেন্টারের শিল্পীদের এ নৃত্য দিয়েই শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্ট।
এরপর ফরিদা পারভীন গেয়ে উঠলেন যখন ‘পাড়ে লয়ে যাও আমায়’, সাড়া পড়ে গেলো ভেতরে-বাইরে। হেমন্তের হালকা শিশিরভেজা সন্ধ্যায়, খোলা আকাশের নিচে ফরিদা পারভীনের কণ্ঠ সৃষ্টি করলো অন্য আবেদন। একে একে তিনি গাইলেন ‘মিলন হবে কতোদিনে’ ও ‘সময় গেলে সাধন হবে না’। ফরিদা পারভীনের কণ্ঠ ধরেই ততোক্ষণে জমে উঠেছে লোকগানের আসর। নির্ধারিত ছাউনি পেরিয়ে, ওদিকে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও দর্শকের ভীড়।
এরপর কিছুক্ষণের জন্য গান নয়, লোক গান নিয়ে আলোচনা। মঞ্চে এলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
ফেরদৌসী রহমান জানালেন তার বক্তব্যে, লোকসংগীতের উৎসব আগেও হতো। স্বাধীনতার আগে। শাহবাগে লোকসংগীতের আসর বসতো। কিন্তু যেখানে থাকতেন শুধু দেশীয় শিল্পীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রথিতযশা শিল্পীরা এসে গান করতেন। সেটা প্রচার হতো বাংলাদেশ বেতারে। ফেরদৌসী রহমান বিশ্বজুড়ে লোকসংগীতের জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করেন। বলেন লোকসংগীত নিয়ে তার বাবা আব্বাস উদ্দীনের বিদেশ-ভ্রমণের গল্পও। এ রকম অনুষ্ঠান প্রতি বছর আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
কেবিএন/