ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের ১৫টি নাট্যদলের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব। রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও নন্দনমঞ্চে আগামী ১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে এটি একযোগে চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।



আগামী ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধন ঘোষণা করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ। একই সঙ্গে আয়োজনটি সম্প্রসারিত হবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও যশোরে।

নাট্যোৎসবে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় নন্দনমঞ্চে রয়েছে আমন্ত্রিত দেশি ও বিদেশি নাট্যদলসমূহের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এগুলো দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে রয়েছে বাংলাদেশের মৃত্তিকালগ্ন সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় নাটক এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে থাকবে ভারতীয় নাট্যদল সমূহের পরিবেশনা।

উৎসবের বিস্তারিত জানাতে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (সপ্তম তলা) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এখানে বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, উৎসব কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী লাকী, উৎসব কমিটির সদস্য সচিব কামাল বায়েজিদ, মোহাম্মদ বারী, চন্দন রেজা, মীর জাহিদ হাসান, তপন হাফিজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আট দিনের এ নাট্যোৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬টি বৈচিত্রময় নাট্যক্রিয়া প্রদর্শন করবে বিভিন্ন নাট্যদল। বাংলাদেশের চাকমা, মণিপুরি, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো, মারমা, ওঁরাও এবং ভারতের অসমিয়া, খাসী, বড়ো, মণিপুরি, ত্রিপুরা, মিজো, ঝাড়খণ্ড ও ছৌ মৃত্তিকালগ্ন গোষ্ঠীর নাট্যদলসমূহ  তাদের প্রশংসিত নাটক নিয়ে অংশগ্রহণ করবে নাট্যোৎসবে।

প্রথম আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসবে যুক্ত রয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, আলী যাকের, নাসিরউদ্দীন ইউসুফসহ অনেকে। তাদের সার্বিক পরামর্শ এবং অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন আয়োজকরা।  

আয়োজকরা বলেন, ‘রূপবৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে নানা জনগোষ্ঠীর বসবাস। বৃহৎ জাতিগোষ্ঠী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সবারই নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। পারস্পরিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং সহনশীল বিশ্ব নির্মাণে সংস্কৃতি বিনিময় অপরিহার্য। আর সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি জোরালো ক্ষেত্র হচ্ছে নাটক। সম্প্রীতি নাট্যোৎসব পর্ষদ প্রথমবারের মতো এর আয়োজন করেছে। ’

বাংলাদেশ সময় : ০২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।