‘সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে নাটক’ স্লোগান নিয়ে ধারণ করে ১৯৮৯ সালের ১২ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে বিবর্তন যশোর। একে একে ২৫ বছর পেরিয়ে এসেছে সংগঠনটি।
যশোর টাউন হল ময়দানে আগামী ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় এর উদ্বোধন হবে। চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উদ্বোধনী আয়োজনে ভারতের পুরুলিয়া ছোঁ নৃত্যদলের পরিবেশনা উন্মুক্ত থাকবে। ২৭ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকছে যথাক্রমে ঢাকার লোক নাট্যদলের ‘কঞ্জুস’, কলকাতার প্রাচ্যর ‘টিপুর স্বপ্ন’, বিবর্তন যশোরের ‘রাজা প্রতাপাদিত্য’, ভারতের গোবরডাঙ্গার নক্সার ‘বিনোদিনী’, নেপালের কাঠমুন্ডুর মান্দালার ‘সারজামিন’, ঢাকার শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘তৃতীয় একজন’, ঢাকার প্রাঙ্গণে মোরের ‘আওরঙ্গজেব’ এবং ঢাকার আরণ্যক নাট্যদলের ‘ভঙ্গবঙ্গ’। প্রদর্শনী হবে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে, প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। বিশেষ অতিথি নাট্যজন মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ভারতের চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন। সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের সভাপতি সানোয়ার আলম খান দুলু। আগামী ৪ ডিসেম্বর সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান।
যশোর শহরের ব্যস্ততম কেশবলাল সড়কে (সঙ্গীতপাড়া) নাট্য সংগঠন বিবর্তন যশোরের কার্যালয়। ১৯৮৯ সালে ‘ইতিহাসের পাতা থেকে’ নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে দলটির নাট্যচর্চা শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৭৩টি নাটকের তিন সহস্রাধিক প্রদর্শনী হয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- যুদ্ধ, ইতিহাসের পাতা, পাইচো চোরের কেচ্ছা, পুরস্কার, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, মহাবিদ্যা, বিসর্জন, মনের আয়না, বিবাহ প্রস্তাব, রাজা প্রতাপাদিত্য, সিসিফাস, কৈবর্ত গাঁথা, হট্টমালার উপারে ও জন্তু।
বির্বতন এ পর্যন্ত স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩০টি নাট্যোৎসব এবং শতাধিক পথনাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ভারতের মুর্শিবাদ, কলকাতা, নদিয়াসহ পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে বির্বতন এ পর্যন্ত নয়বার আর্ন্তজাতিক নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করে সুনাম কুড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ২০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
জেএইচ