ঘরের খুঁটি ধরে বসে আছে যে, গলায় চিকন পৈতা, হাতে শাখা, সিঁদুর খানিকটা লেপ্টে উঠে গেছে সিঁথি বরাবর; তার নাম প্রীতিবালা। সে প্রান্তিক সমাজের মেয়ে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রীতিবালা হয়েছিলেন, মাঝের দিকে এসে মৌসুমী হামিদ হলেন রানীবালা। তবে এ ‘বালা’ও প্রান্তিক-সুবিধাবঞ্চিত হলেও থাকে শহর ঢাকায়। ‘সে যৌনকর্মী’- রানীবালার সঙ্গে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি, ‘তবে দেখে-স্বভাবে একেবারেই বোঝার উপায় নেই তা। খুবই অভিজাত পরিবারের মনে হয়। মফস্বলে থাকতো। পড়াশোনাও করেছে যতোদূর সম্ভব। সে যে প্রান্তিক মেয়ে, ধরা পড়ে যখন সে কথা বলে। কথায় প্রচুর আঞ্চলিকতা। ’
চরিত্রের নামেই নাটকের নাম ‘রানীবালা’। কাহিনী ও পরিচালনা সুমন আনোয়ারের। মৌসুমী হামিদ এ গল্পে, এ চরিত্রে এতোখানি ডুবে গেছেন যে, বলছিলেন, ‘গতকাল (২২ নভেম্বর) আমার অংশের কাজ ছিলো না। তবুও সারাদিন সেটে বসেছিলাম, কীভাবে কাজটা হচ্ছে, অন্যরা কীভাবে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলছে- শুধু এটা দেখার জন্য। ’
গল্পে দু’জন আইনজীবী আছেন। একজন আফরান নিশো, অন্যজন মনিরা ইউসুফ মেমী; তারা মা-ছেলে। পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন। আছেন একজন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী (শহীদুল আলম সাচ্চু), যার বিরুদ্ধে রানীবালা মামলা ঠুকে দেয়, ধর্ষণের অভিযোগে। ‘একজন যৌনকর্মীও যে ধর্ষণের শিকার হতে পারে, হয়; পুরো গল্পটা সেটা প্রমাণ করার। সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যার পরাজয়ের গল্প এটা’- বলছিলেন মৌসুমী।
এদিকে আঙুরবালা নামের আরেকটি চরিত্রে কাজ করবেন মৌসুমী হামিদ। এটাও সুমন আনোয়ারের নাটকের চরিত্র। কাজটা শুরু হবে এ মাসেই। এর দৃশ্যধারণ হবে শ্রীমঙ্গলে। এ নিয়েও উচ্ছ্বসিত ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ সুন্দরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ