প্রায় দেড় যুগ আগের কথা। ‘এলিজাবেথ’ (১৯৯৮) ছবির দৃশ্যধারণ চলাকালে ভারতীয় পরিচালক শেখর কাপুরের সঙ্গে মৃদ্যু ঝগড়াঝাটি হতো কেট ব্ল্যানচেটের।
ভারতে ‘ওমেন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন ব্ল্যানচেট। ইংরেজি ভাষার ছবি ও মঞ্চনাটকে দৃঢ়চেতা বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে। ‘এলিজাবেথ’-এ ব্রিটেনের রানীর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। এর দ্বিতীয় কিস্তি ‘এলিজাবেথ: দ্য গোল্ডেন এজ’ (২০০৭) ছবিতেও একই চরিত্র হয়ে পর্দায় এসেছেন ব্ল্যানচেট। এটিও পরিচালনা করেন শেখর কাপুর।
‘এলিজাবেথ’ প্রসঙ্গে ব্ল্যানচেট বলেন, “আমি ইতিহাসপ্রেমী মানুষ। এলিজাবেথের ইতিহাস নিয়েও খুব উৎসাহী ছিলাম। শেখরও আমার মতোই। আমি অস্ট্রেলিয়ান, ও ভারতীয়; আমাদের দু’জনেরই দেশ একসময় ব্রিটিশ অধ্যুষিত ছিলো। ‘এলিজাবেথ’ ছবিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে এ দুটি দেশের মানুষ, এটা ভেবে ওর মধ্যে অনেক উত্তেজনা ছিলো। ”
ব্ল্যানচেট আরও বলেন, ‘ছবিটির সৃজনশীল দিক নিয়ে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক লড়াই হতো। আমার তো মনে হয়, বনিবনা না থাকলে সৃজনশীল কাজ কিছুটা একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে। তবু বলতেই হচ্ছে, শেখরের সঙ্গে আলোচনা আর কাজ করাটাই আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। ’
‘এলিজাবেথ’কে ভাবা হয়ে থাকে হলিউডে কেট ব্ল্যানচেটের ওপরে ওঠার সিঁড়ি। পরবর্তী সময়ে মার্টিন স্করসিসের ‘এভিয়েটর’-এর (২০০৪) জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী আর উডি অ্যালেনের ‘ব্লু জেসমিন’ (২০১৩) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জেতেন তিনি।
সর্বশেষ কেটকে দেখা গেছে ‘ক্যারল’-এ। পঞ্চাশের দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবিটিতে সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৪৬ বছর বয়সী এই তারকা। এটি তাকে আরেকটি অস্কার এনে দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্যাট্রিসিয়া হাইস্মিথের উপন্যাস ‘দ্য প্রাইস অব সল্ট’ অবলম্বনে এ ছবি পরিচালনা করেছেন টড হেইন্স।
ব্যক্তিজীবনেও ব্ল্যানচেট সুখী মানুষ। নাট্যকার-চিত্রনাট্যকার অ্যান্ড্রু আপটনের সঙ্গে সংসার করছেন ১৮ বছর ধরে। দু’জনে মিলে একটি মঞ্চ নাট্যদল চালান। অস্ট্রেলীয় এই সুন্দরী তিন পুত্রসন্তানের মা। সঙ্গে গত মার্চে একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
জেএইচ