ভারতে অসহিঞ্চুতা নিয়ে মন্তব্য করায় সমালোচিত হচ্ছেন আমির খান। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে হাসাহাসি ও উপহাস, তৈরি হয়েছে কিছু ট্রল।
আমিরের ওই অন্ধভক্তের নাম সোনম পান্ডে। বয়স ২৪ বছর। আমিরের মন্তব্য নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় পড়ে স্বামী মায়াঙ্ক পান্ডের সঙ্গে তার ভীষণ তর্কাতর্কি হয়। মায়াঙ্ক বলিউডের এই অভিনেতাকে নিয়ে উপহাস করলে সোনম বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
সোনমের শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত পশুচিকিৎসক আরপি পান্ডে জানান, আমির খানের অন্ধভক্ত ছিলেন সোনম। তার পুত্র রসিকতা করে স্ত্রীকে বলেছিলেন, কিরণের পরামর্শ মেনে আমিরের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত! তখনই সোনম রেগে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর তার চিৎকার শুনে সবাই ভেতরে ঢুকে দেখেন সোনম বমি করছেন। তড়িঘড়ি তাকে নিকটস্থ বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
সোনমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। কোতয়ালি থানার ওসি প্রফুল্ল শ্রীবাস্তব জানান তারা তদন্ত করে দেখছেন।
মায়াঙ্ক একটি এনজিওতে কর্মরত আছেন। ২০১২ সালে সোনমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির তিন বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান আছে। আত্মহত্যা বলা হলেও সোনমের ভাই রমেশ সাংবাদিকদের জানান, যৌতুকের জন্য মাঝে মধ্যে তার বোনের ওপর নির্যাতন করা হতো। তাদের বৈবাহিক জীবনে মতবিরোধ চলছিলো। রমেশের দাবি, কুকর্ম ঢাকতেই আমির খানকে টেনে নাটক সাজিয়েছেন সোনমের শ্বশুর ও স্বামী।
এদিকে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে ৫০ বছর বয়সী আমির বলেছেন, ‘আমার বক্তব্যকে বিকৃতি করে কিছু মানুষ সমালোচনা করছেন। আমার ও কিরণের ভারতে ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিলো না, আর ভবিষ্যতেও এমন ইচ্ছা হবে না। ভারত আমার দেশ, একজন ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত। এখানে জন্মে আমি ধন্য। আমি এখানেই থাকবো। ভারতীয় হিসেবে কারও কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার দরকার নেই আমার। ’
* আমিরের ধৈর্যের প্রশংসায় হৃতিক
* বকেয়া কর চেয়ে আমিরের বাড়িতে প্রশাসনের চিঠি
* আমিরকে ‘চড়’ দিলেই এক লাখ রুপি!
* আমিরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
* স্ত্রী-পুত্রকে মুম্বাইয়ের বাইরে পাঠাচ্ছেন আমির
* আমিরের পাশে রহমান
* আমিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও থানায় অভিযোগ
* ভয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন আমিরের বউ
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
বিএসকে/এসও/জেএইচ