চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার আয়োজনে হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী ‘বার্ষিক মেজবান ও মিলনমেলা-২০১৫’। শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় সকাল ১১টায়।
চারপর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানমালার মূল আয়োজন চট্টগ্রাম সমিতির পদক প্রাপ্তিতে অনুভূতি ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, এ এম. এম. নাসরুল্লাহ খান, অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৬ বছর শিক্ষকতা করেছি। সেসময় সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকেছি। চট্টগ্রামবাসীর ভূমিকা ও তারা যে আমাকে আপন করে নিয়েছে তা ভোলার নয়। তাই চট্টগ্রামবাসীয় আহ্বান পেলে উপস্থিত না হয়ে পারি না। চট্টগ্রাম সমিতি আমাকে পদক দিয়েছে চট্টল সুহৃদ হিসেবে, এটি আমি আনন্দচিত্তে গ্রহণ করলাম। ’
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে চট্টলশিখার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় ও মূল পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি লায়লা সিদ্দিকী। এ পর্বে মঞ্চে উপস্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য একবিংশ শতাব্দীর গ্লোবাল সিটির বিকল্প নেই। চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে সরকারের মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পদকপ্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদানের পর আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিঞা মোঃ জয়নাল আবেদিন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার সাবেক সভাপতি মোঃ আজিজুল হক চৌধুরী, আবু আলম চৌধুরী, রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সাবেক সচিব আ ম ম নাছির উদ্দিন, উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সাবেক সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দীন খান জানান, মেজবান অনুষ্ঠানে সমিতির জীবনসদস্যসহ প্রায় ২৫ হাজার অতিথি মেজবান ভোজে অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে মেজবানে সমিতির পক্ষ থেকে দশ দফা দাবি উপস্থাপন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
জেএইচ