‘আয়রে আয় পোলাপান, কাইন্দা কাইন্দা পয়সা আন/বায়স্কোপ তোরা দেখবি আয়, চইলা গেলো ফুরাইয়া যায়’- এখনকার যারা পঁচিশোর্ধ্ব, শৈশব পেয়েছে গ্রাম-মফস্বল; তাদের স্মৃতিজুড়ে এমন গানের মতো আহ্বান রয়েছে এখনও। রয়েছে বায়োস্কোপ, চোখ রাখলেই যাতে ভেসে উঠতো রঙ-বেরঙের চিত্র-দৃশ্য।
তাই যখন অভিনেতা আজাদ আবুল কালামকে দেখা যায় বায়োস্কোপ কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন পথে পথে, ডেকে ডেকে দেখাচ্ছেন সবাইকে, অবাকই হতে হয়। এ সময়ে বায়োস্কোপ! তাকে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তর দেন, ‘চরিত্র’। বাকিটা খোলাসা করেন সকাল আহমেদ, ‘এখানে তিনি আজাদ আবুল কালাম নন, তিনি মজনু মিয়া। বায়োস্কোপওয়ালা। এতে তো আর এখন তেমন আকর্ষণ নেই কারও। আয়-রোজগার হয়-ই না প্রায়। সংসার চলে কষ্টে। ’ কিন্তু তিনি কেনো করেন এসব? আজাদ আবুল কালাম টেনে আনেন মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ। মজনু মিয়া বায়োস্কোপে চিত্রজগত দেখান না, রাজা-রানীদের বর্ণাঢ্য কাহিনীও না, তিনি দেখান মুক্তিযুদ্ধের চিত্র। ‘বায়োস্কোপের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে এ প্রজন্মকে জানাতে চান তিনি’- বলেন সকাল আহমেদ। তিনি আজাদ আবুল কালামকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন এমন গল্পের টেলিছবি ‘মজনু মিয়ার বায়োস্কোপ’।
দিন কয়েক আগে ঢাকার দক্ষিণখানে এর দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। রিচি সোলায়মান রয়েছেন গল্পে, মজনু মিয়ার স্ত্রী হয়ে। রয়েছেন আইরিন আফরোজও, সাধারণ এক মজনু মিয়াকে দেশব্যাপী পরিচিত করিয়ে দেওয়ার অন্যতম নেপথ্য তিনি। আর রয়েছেন লিটু সাখাওয়াত, তিনি চরিত্রগুলোর স্রষ্টা, গল্পের স্রষ্টা, ‘মজনু মিয়ার বায়োস্কোপ’ চিত্রনাট্যটি তার লেখা। আগামী ২৩ ডিসেম্বর চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে টেলিছবিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ