ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

আগামীর স্বপ্ন নিয়ে শুরু শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
আগামীর স্বপ্ন নিয়ে শুরু শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ছবি: সোলায়মান হারুনী মৃদুল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) শুরু হলো নবম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। এদিন বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে এর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।



অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। প্রথম পর্বের উদ্বোধনী আয়োজনে জাতীয় সংগীত বাজানোর সঙ্গে উত্তোলন করা হয় পতাকা। সঙ্গে ওড়ানো হয় পায়রা ও বেলুন।

দ্বিতীয় পর্বে শওকত ওসমান মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী। বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ। বক্তব্য শেষে প্রদীপ প্রজ্বলের পর দেখানো হয় জার্মানির ছবি ‘মাই ফ্রেন্ড রাফি’।

চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের এ আয়োজনে ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটের ১৫টি ভেন্যুতে ৩০টি দেশের দেড় শতাধিক ছবির প্রদর্শনী হবে চারটি বিভাগে। প্রতিটি বিভাগেই সেরা নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হবে।

ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় চারটি করে ছবির প্রদর্শনী হবে। অন্য কেন্দ্রগুলোতে শুধু সন্ধ্যায় ছবি নেই। উৎসবের সব ছবি অভিভাবকসহ শিশুদের জন্য উন্মুক্ত।

এবারের উৎসবে দেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা অংশ নেবেন। চলচ্চিত্র নির্মাণ ও আরও কিছু বিষয় নিয়ে দুটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এগুলো পরিচালনা করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম ও অমিতাভ রেজা। থাকবে দর্শক ও অতিথিদের মধ্যে কথোপকথন পর্ব। প্রথম দিনের কথোপকথন পর্বে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।   দ্বিতীয় দিন মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা জানাবেন দু’জন মুক্তিযোদ্ধা।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয বিভাগ হলো বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এতে জমা পড়েছে ৮০টি চলচ্চিত্র। এর মধ্য থেকে নির্বাচিত ৩৩টি ছবি প্রদর্শিত হবে উৎসবে। সেখান থেকে পাঁচটি ছবিকে পুরস্কৃত করা হবে।

সেরা ছবি নির্বাচন করবে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড। তা ছাড়া বড়দের নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সমালোচক সাজেদুল আউয়াল এবং জাকির হোসেন রাজু। এ ছাড়াও থাকছে তরুণ নির্মাতাদের জন্য ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং সোশ্যাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড।

আগামী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে থাকবে উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এদিন অনুষ্ঠানে সব বিভাগের প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

বাংলাদেশ সময় : ০৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।