একঝাঁক তারকা অভিনয়শিল্পীর সম্মিলন ঘটছে একটি নাটকে। তালিকাটা এরকম- শর্মিলী আহমেদ, দিতি, শহীদুজ্জামান সেলিম, অরুণা বিশ্বাস, অপূর্ব, নিরব, নাঈম, তানভীর, ইমি, তমালিকা, হীরা, রুমা, নাজিরা মৌ, নেহা প্রমুখ।
নাচ, গান ও ফ্যাশন শো- কিছুই বাদ গেলো না। নাটকের অভিনয়শিল্পীরাই এসবে অংশ নিয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এটিএন বাংলায় সম্প্রচার শুরু হচ্ছে প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটক ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’। এ উপলক্ষে ২৮ জানুয়ারি এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে (এটিএন বাংলা স্টুডিও) জড়ো হয়েছিলেন সবাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। এছাড়া এটিএন বাংলার উর্দ্ধতন কর্মকতা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাটকের পরিচালক, শিল্পী কলাকুশলী ও বিনোদন সাংবাদিকরা।
রুদ্র মাহফুজের রচনায় ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন বি ইউ শুভ। উদ্বোধনী প্রদর্শনী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ফ্যাশন শো ও নাচে অংশ নেন তানভীর-নেহা ও নিরব-নাজিরা মৌ। এ ছাড়া ক্যাটওয়াক করেছেন ইমি, হীরা, রুমাসহ অনেকে।
ব্যস্ত শহর ঢাকায় মানুষের মধ্যে দেখা যায় আনন্দ, দুঃখ ও ভালোবাসার মিশ্র এক মেলবন্ধন। চার’শ বছরের পুরনো এ নগরে ন্যুজ্ব স্বপ্ন যেমন রয়েছে, তেমনি আছে সৃজন উৎকর্ষতার বিস্ময়। ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ আধুনিক ঢাকার বেশকিছু তরুণের গল্প। তারা কখনও মেধাবী, কর্মদক্ষ, সৃজনশীল, প্রেমিক আবার কখনও বা শৃংখলহীল, পরিবারের জন্য দুঃস্বপ্ন, বেকার ও মাদকাসক্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া স্মার্ট তরুণ জারিফ, শার্লিন, আরিশা, এ্যানা, শামা, নীল, সৌমিক, প্রীত,রাইসা, লাবণ্য ,তুর্য এবং সারাহ ভিন্ন সমাজিক ও অর্থনৈতিক প্রার্থক্যে বেড়ে উঠলেও সবার মাঝে মিলটা হলো বন্ধুত্বের। এই তরুণদের মধ্যে জারিফ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মেধাবী ও স্মার্ট। শার্লিন ধনী পরিবারের মেয়ে। কিছুটা অন্যরকম জীবনযাপনে সে অভ্যস্ত। চাইলে হাতের কাছে অর্থ হাজির হয় বলেই শার্লিন সবকিছু টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করে। আরিশার বাবা ব্যাংকার আর মা চিকিৎসক। উচ্চবিত্ত হলেও আরিশা কখনো জৌলুশপূর্ণ জীবনযাপন করে না। তার ভাষায়, জীবনটা সিস্পলি দ্য বেষ্ট। এ্যানা গান পাগল, নিজের একটা ব্যান্ড রয়েছে। তাদের গানের শ্রোতা ব্যান্ড সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শামার বাবা আকবর আলী পেশায় ব্যবসায়ী আর মা শ্রীজয়া কলেজে বাংলা পড়ান। দু’জন দুই ধর্মের হলেও শামা কখনোই তা বুঝতে পারেনি বাবা-মা’র জীবনাচারণে। শামা ছবি আঁকে। জীবন নিয়ে তার দর্শন হলো- রঙিন নয়, সাদাকালোর মাঝেই জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। নীলকে সবাই সমীহ করে। নষ্ট ছাত্র রাজনীতির শিকার নীল। তার একটি দল রয়েছে যারা অর্থের বিনিময়ে সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। জমি দখল থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজিতেও নীলের নাম পুলিশের খাতায় লাল কলমে লেখা রয়েছে। সৌমিকের নেশা ফটোগ্রাফি নিয়ে। ঘুরে ফিরে ছবি নিয়েই তার বিস্তর আলাপ। প্রীত সবার থেকে একটু আলাদা। খবরের কাগজে কাজ করার পাশাপাশি গল্প-কবিতাও লেখে। প্রীতকে নিয়ে আড়ালে সবাই হাসলেও সামনাসামনি বাহবা দেয়। অন্যদিকে আরিশা, রাইসা, সারাহ ও লাবণ্য একসঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে থাকে। তাদের বাবা মা মফস্বলের বাসিন্দা।
এই তরুণ-তরুণীদের পরস্পরের প্রতি সম্পর্ক, ভালোবাসা, বিরহ, দ্বন্দ্ব, বিশ্বাস-অবিশ্বাস ও সর্বোপরি বন্ধুত্বটা স্পষ্টভাবে উঠে আসবে ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ধারাবাহিকে। নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জীবনের জয়গানই মুগ্ধ ক্যানভাসে চিত্রিত হয়ে টিভি পর্দায় আসছে ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এসও/