দু’জনই হলিউডের সুপারস্টার। বলছি আমেরিকার দুই অভিনেতা জনি ডেপ ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর কথা।
হতবাক করা ব্যাপার হলো, দৃশ্যধারণের সময় ডিক্যাপ্রিওর প্রতি মোটেও সদয় ছিলেন না ডেপ। সান্তা বারবারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৩১তম আসরে ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেতা নিজেই এটা স্বীকার করেছেন। চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাল্টিন মডার্ন মাস্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।
ডিক্যাপ্রিওর বয়স তখন ১৯ বছর। নিজের চেয়ে দশ বছরের ছোট তরুণের সঙ্গে কাজ করার গল্প ভাগাভাগি করতে গিয়ে সত্যি কথাটা মুখ ফুটে বলে ফেলেছেন ডেপ। তখন দুঃসময়ের হাওয়া বইছিলো তার জীবনে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ডিক্যাপ্রিওর প্রতি তার ব্যবহারে।
জনি ডেপ বলেছেন, ‘বেশকিছু কারণে ওই ছবি ছিলো আমার জন্য অনেক কঠিন। জানি না কেনো। ’ ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি অকপটে বলেছেন, ‘ওকে অনেক জ্বালিয়েছি। সত্যিই অনেক যন্ত্রণা দিয়েছি। সেগুলো নির্যাতনের মতোই। তখন আমার চারপাশ কেমন যেন আঁধার ছিলো। ’
সহশিল্পী ডিক্যাপ্রিওর কাজের প্রতি আন্তরিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ জনি ডেপ বলেছেন, ‘লিওকে সত্যি আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। ও অনেক পরিশ্রমী ছেলে। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে গবেষণায় প্রচুর সময় দেয়। সেটে এলেই হাড়খাটুনির জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতো ও। ’
জনি ডেপের কথা যে সত্যি, তার উজ্জ্বল প্রমাণ ‘দ্য রেভেন্যান্ট’। আলেহান্ড্রো গঞ্জালেজ ইনারিতুর এ ছবিতে কিংবদন্তি অভিযাত্রী হিউ গ্লাস চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন ডিক্যাপ্রিও। ফলও পাচ্ছেন। গোল্ডেন গ্লোব, ক্রিটিকস চয়েস ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডের পর প্রথমবারের মতো অস্কারজয়ের হাতছানি তার সামনে।
বাংলাদেশ সময় : ২৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
জেএইচ