ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সুতরাং তিনি অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী হয়ে রইলেন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
সুতরাং তিনি অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী হয়ে রইলেন স‍ুভাষ দত্ত (১৯৩০-২০১২) / ছবি: আবীর শ্রেষ্ঠ (অতিথি আলোকচিত্রী)

কীর্তিমান চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী ৯ ফেব্রুয়ারি। এ উপলক্ষে ভারমিলিয়ন ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড মিডিয়া ইনস্টিটিউট, সুভাষ দত্ত স্মৃতি পরিষদ ও সুভাষ দত্ত পরিবারের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নির্মাতা সারাহ বেগম কবরী, চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, চলচ্চিত্র গবেষক ও শিক্ষক অনুপম হায়াৎ। সভাপতিত্ব করবেন প্রাবন্ধিক, প্রাক্তন সচিব ও এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।

সুভাষ দত্ত স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক ঝর্ণা দত্ত জানান, অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ‘সুতরাং তিনি অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী হয়ে রইলেন’ নামের স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি উদ্বোধন করা হবে ‘সুভাষ দত্ত অনুশীলন’ শীর্ষক চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সুভাষ দত্ত অভিনীত ও পরিচালিত চলচ্চিত্রের গান পরিবেশন করবে মনমৃত্তিকা দলটি।

নব্বই দশকের গোড়ার দিকে সুভাষ দত্তের হাত ধরেই শুরু হয় ‘অনুশীলন’ নামে প্রাথমিক চলচ্চিত্র অভিনয়ের ক্লাস। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আরেকটু বড় কলবরে শুরু হতে যাচ্ছে ‘সুভাষ দত্ত-অনুশীলন’ চলচ্চিত্র শিক্ষা কার্যক্রম। এবারের অনুশীলনে শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্র অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের শৈল্পিক ও কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর শিক্ষা লাভ করবেন।

১৯৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের মুনশিপাড়ায় মামার বাড়িতে জন্মেছিলেন সুভাষ দত্ত। তার পৈতৃক নিবাস বগুড়ার চকরতি গ্রামে। তিনি থাকতেন ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের নিজ বাড়িতে। তার পরিচালিত ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘সুতরাং’ (১৯৬৪), ‘আবির্ভাব’ (১৯৬৮), ‘বিনিময়’ (১৯৭০), ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ (১৯৭২), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭) প্রভৃতি।

দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পে সুদীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন সুভাষ দত্ত। ১৯৭৭ সালে ‘বসুন্ধরা’র জন্য শ্রেষ্ঠ প্রযোজক-পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৯ সালে ভূষিত হন একুশে পদকে। ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর ৮২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।