সিলেট: ‘বসন্ত বাতাসে সইগো, বসন্ত বাতাসে’ কোকিল ডাকা বসন্তকে ঘিরে রচিত বাউল করিমের গানে জন্মশত বার্ষিকীতে মজেছিলেন দর্শক।
জেলা স্টেডিয়াম ভর্তি হাজারো মানুষ।
বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমের ভক্ত ও গুণগ্রাহীদের ভালোবাসায় মুগ্ধতায় শেষ হলো বাউল শাহ্ আবদুল করিম জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে সিলেটের উৎসব।
তিন দিনব্যাপী উৎসবের শেষদিনে ভারতের প্রখ্যাত লোকগানের দল ‘দোহার’র সঙ্গীত পরিবেশনা মুগ্ধ করে দর্শকদের।
দলীয় পরিবেশনায় ‘বসন্ত বাতাসে সইগো, বসন্ত বাতাসে’ এবং ‘আসি বলে গেলো বন্ধু আইলো না’ গানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় শেষ দিনের পরিবেশনা।
শেষ দিনে বক্তব্য রাখেন ড. রাজীব কর, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন ও দিরাই উপজেলার তাড়লের চেয়ারম্যান নুরুল হক তালুকদার।
পরে বাউল শাহ্ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শনের উপর প্রখ্যাত নির্মাতা শাকুর মজিদ নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ভাটির পুরুষ প্রদর্শিত হয়।
শেষ দিনে বাউল শাহ্ আবদুল করিমের সংগীত পরিবেশন করেন সিলেটের প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, বাউল কালা মিয়া, বাউল সূর্যলাল, মিতালী চক্রবর্তী, অরুণ কান্তি তালুকদার, মীনাক্ষী দেব, তন্বী দেব, কাকলী দত্ত মুন্নী, আবুল কালাম আজাদ, তানজীদা হক তালুকদার।
এছাড়াও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমী এবং নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমী অব মনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস।
তবে শেষ দিনের আকষর্ণ ভারতের কলকাতার প্রখ্যাত লোকগানের দল ‘দোহার’ মঞ্চে ওঠে রাত সাড়ে আটটায়।
বাউল শাহ্ আবদুল করিমের গান পরিবেশন করে উপস্থিত হাজারো দর্শকদের বিমোহিত করে তারা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিম জন্ম শতবার্ষিকী উৎসব।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও সিলেট উৎসব কমিটির ব্যবস্থাপনায় শাহ্ আবদুল করিম জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে বুধবার বিকেল ৪টায় উৎসব উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
আরএ