তিনি গ্র্যামীজয়ী গায়িকা, পেয়েছে দুটি ব্রিট অ্যাওয়ার্ডসও। এমন শিল্পীর গায়কী সামনাসামনি শুনলে মন তো কাড়বেই।
রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) লাইভস্কয়ার আয়োজিত ‘পপরিপাবলিক’ শীর্ষক কনসার্ট উপভোগ করতে এসে দর্শক-শ্রোতারা দেখলো আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পাওয়া জসকে, অথচ কি ডাউন টু আর্থ মেয়ে তিনি!
রাত ৮টা ১৩ মিনিটে মঞ্চে এলেন জস স্টোন। এসেই কাপড়ে জড়ানো মাইক্রোফোন স্ট্যান্ডটাকে আলগে অনেকটা সামনে নিয়ে এলেন। তখন থেকেই দর্শকদের তুমুল হর্ষধ্বনি শুরু হয়ে গেছে। প্রথম গান গাওয়ার পর বললেন, ‘কেউ যদি নাচতে চান লজ্জা পাবেন না। যারা গাইতে চান, গাইতেও পারেন। ’
দ্বিতীয় গান পরিবেশনের সময় হাঁটি হাঁটি পা পা করে নেমে এলেন মঞ্চের নিচে, দর্শকসারিতে। একেকজন দর্শকের সামনে গাইতে গাইতে হাত বাড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত নাচতে থাকলেন। ছোট ছোট বাচ্চারাও চলে এসেছে কাছে। জসের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত মোটাসোটা লোকটাকে হিমশিম খেতে হলো উন্মাদনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
এদিকে দর্শক-শ্রোতাদের হৈ-হুল্লোড় বরং উপভোগই করছেন জস। ক্রমে তিনি হেঁটে হেঁটে অনেকটুকু এগিয়ে গেলেন। অনেকেই ঘিরে ধরেছেন তাকে। সেলফি তোলার চেষ্টাও চলতে লাগলো এই সুযোগে। প্রায় দেড় ঘণ্টা গান গেয়ে শোনালেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা। এ অভিজ্ঞতা অভূতপূর্ব।
মাঝে মাঝে জস মাইক বাড়িয়ে দিলেন দর্শক-শ্রোতাদের দিকে, তাদের কণ্ঠে নিজের গান শুনে উচ্ছ্বসিতও হলেন। এগারোটি গান পরিবেশনের পর বললেন, ‘আমার গান শোনার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। ’
জসের এই বিনয়, ভিনদেশিদের আপন করে নেওয়া আর সুরের বৃষ্টিতে ভেজানো গায়কী ভোলার নয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশে সৌল সংগীত পরিবেশনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে ‘টোটাল ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ শুরু করেছিলেন তিনি। ঢাকায় এসেছিলেন এরই অংশ হিসেবে। তিনি নিশ্চয়ই এখানকার অতিথিপরায়ণ, প্রাণবন্ত আর স্বতস্ফূর্ত দর্শক-শ্রোতার কথা মনে রাখবেন অনেকদিন।
জস স্টোনের আগে এদিনের কনসার্টে একে একে সংগীত পরিবেশন করেন মিনার রহমান, আরমীন, রাফা, এলিটা ও জন।
* নীলনয়নার এক পায়ে নূপুর, নাকে নথ
* জস স্টোনের মোবাইল ফোনে ঢাকার গানপাগলরা!
* বসুন্ধরায় জস স্টোনের মুখে ‘চা’!
বাংলাদেশ সময় : ২২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
জেএইচ