সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র পুরস্কার জয় অব্যাহত রয়েছে। এবার জি সিনে অ্যাওয়ার্ডসে সর্বাধিক ১০টি বিভাগে সেরা হয়েছে এটি।
দীপিকার সহশিল্পী রণবীর সিং জুরিদের দৃষ্টিতে হয়েছেন সেরা অভিনেতা। তাকে অবশ্য অমিতাভ বচ্চনের (পিকু) সঙ্গে পুরস্কারটি ভাগাভাগি করতে হয়েছে। বিচারকদের চোখে সেরা ছবি হয়েছে ‘বাজিরাও মাস্তানি’। পরিচালকও সঞ্জয়লীলা বানসালি।
দর্শক পছন্দে সেরা ছবি হয়েছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন সালমান খান। তার সহশিল্পী হারশালি মালহোত্রা সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হয়েছে। তবে হারশালির সঙ্গে ভাগ বসিয়েছেন ভূমি পেড়নেকর (দম লাগা কে হেইশা)।
সালমান-হারশালির সহশিল্পী নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি পেয়েছেন সেরা কৌতুক অভিনেতার সম্মান। ‘বদলাপুর’-এর জন্য খল অভিনেতার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। দীপিকার পাশপাশি তিনিও দুটি বিভাগে সেরা হয়েছেন।
অবশ্য ‘পিকু’ ছবির জন্য জুহি চতুর্বেদি গল্পকার, সংলাপ রচয়িতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে একাই তিনটি পুরস্কার জিতেছেন। গানের বিভাগগুলোর মধ্যে মোহিত চৌহান (মাতারগাস্তি- তামাশা) ও অরিজিৎ সিং (সুরজ ডুবা- রয়) যৌথভাবে সেরা গায়ক আর শ্রেয়া ঘোষাল (মোহে রঙ দো লাল- বাজিরাও মাস্তানি) হয়েছেন সেরা গায়িকা। ‘দম লাগা কে হেইশা’র জন্য সেরা সংগীত পরিচালকের সম্মান পেলেন অনু মালিক।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনবদ্য অবদানের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে অজয় দেবগণকে। ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অভিনেতা অনিল কাপুর। জি সিনেমা চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে আগামী ৫ মার্চ।
সেরা তালিকা
চলচ্চিত্র (জুরি) : বাজিরাও মাস্তানি
পরিচালক (জুরি) : সঞ্জয়লীলা বানসালি (বাজিরাও মাস্তানি)
অভিনেত্রী (জুরি) : দীপিকা পাড়ুকোন (পিকু)
অভিনেতা (জুরি) : অমিতাভ বচ্চন (পিকু) ও রণবীর সিং (বাজিরাও মাস্তানি)
বর্ষসের গান (দর্শক পছন্দ) : প্রেম রতন ধন পায়ো
চলচ্চিত্র (দর্শক পছন্দ) : বজরঙ্গি ভাইজান
অভিনেত্রী (দর্শক পছন্দ) : দীপিকা পাড়ুকোন (বাজিরাও মাস্তানি)
অভিনেতা (দর্শক পছন্দ) : সালমান খান (বজরঙ্গি ভাইজান)
নবাগত অভিনেতা : ভিকি কৌশল (মাসান)
নবাগতা অভিনেত্রী : ভূমি পেড়নেকর (দম লাগা কে হেইশা) ও হারশালি মালহোত্রা (বজরঙ্গি ভাইজান)
নতুন পরিচালক : নীরাজ গাইওয়ান (মাসান)
কৌতুক অভিনেতা : নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি (বজরঙ্গি ভাইজান)
খল অভিনেতা : নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি (বদলাপুর)
পার্শ্ব অভিনেত্রী : শ্বেতা ত্রিপতি (মাসান)
পার্শ্ব অভিনেতা : সঞ্জয় মিশ্র (মাসান)
আবহ সংগীত : বাজিরাও মাস্তানি (সঞ্চিত বালহারা)
ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস : বাজিরাও মাস্তানি (প্রসাদ সুতার)
অ্যাকশন : বাজিরাও মাস্তানি (শ্যাম কৌশল)
নৃত্য পরিচালক : গনেশ আচার্য (মালহারি- বাজিরাও মাস্তানি)
চিত্রগ্রহণ : সুদীপ চ্যাটার্জি (বাজিরাও মাস্তানি)
গল্প : পিকু (জুহি চতুর্বেদি)
সংলাপ : পিকু (জুহি চতুর্বেদি)
চিত্রনাট্য : পিকু (জুহি চতুর্বেদি)
গীতিকার : বরুণ গ্রোভার (মোহ মোহ কে দাগে- দম লাগা কে হেইশা)
সংগীত পরিচালক : অনু মালিক (মোহ মোহ কে দাগে- দম লাগা কে হেইশা)
গায়িকা : শ্রেয়া ঘোষাল (মোহে রঙ দো লাল- বাজিরাও মাস্তানি)
গায়ক : মোহিত চৌহান (মাতারগাস্তি- তামাশা) ও অরিজিৎ সিং (সুরজ ডুবা- রয়)
মারাঠি ছবি : নটসম্রাট
বাংলাদেশ সময় : ১২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ