‘বাংলাদেশের ছায়াছবির সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমরা বাংলা ছবির নামে হয় বোম্বে, না হয় মাদ্রাজী ছবি দেখছি’- বলছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পে তামিল ছবির প্রভাবের দিকটিই স্পষ্ট করলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এখন বাণিজ্যিক ছবিগুলোর বেশিরভাগই তামিল ছবির অনুকরণে তৈরি হচ্ছে। তিনি এর কড়া সমালোচনা করেছেন।
‘শঙ্খচিল’ ছবির দৃশ্যধারণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান তার বন্ধু। সত্যিকারের সীমান্তে কাজ করার জন্য প্রযোজকরা সরকারি অনুমতি নেওয়ার পর বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিজিবি তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। এরপর সাতক্ষীরায় দৃশ্যধারণের পুরোটা সময় জুড়ে তিনি সশরীরে হাজির ছিলেন সীমান্তে।
সীমান্তবর্তী পরিবারকে নিয়ে নির্মিত ছবিটি প্রসঙ্গে দেশভাগ নিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, “বাংলা ভাগ হলো, কিন্তু ভাষা ভাগ হলো না। বাংলা ভাগ হলো, অনুভূতি ভাগ হলো না। বাংলা ভাগ হলো, সংস্কৃতি ভাগ হলো না। ‘শঙ্খচিল’ ছবিতেও এ দিকটি উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে বাঙালিয়ানায় ভরা বাংলা ভাষার পরিপূর্ণ বাংলা ছবি দেখবো আশা করি। ” তিনি এ ধরনের মৌলিক গল্পের ছবির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ চ্যানেল আই ভবনের স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ছবিটির আরেক প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর, অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, কুসুম সিকদার, শাহেদ আলী, বুড়ি আলী, সাঁঝবাতি, নজরুলসংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মৌসুমী বড়ুয়া। এ আয়োজন চ্যানেল আইতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
আশীর্বাদ চলচ্চিত্র ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের পাশাপাশি ‘শঙ্খচিল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন প্রসেনজিৎ ও মৌ রায় চৌধুরী। আগামী পহেলা বৈশাখে ছবিটি দুই বাংলার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
জেএইচ