বিএফডিসি থেকে: প্রয়াত পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কুমকুম ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি বেঁচে নেই চার বছর হলো।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আলমগীর কুমকুমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (বিএফডিসি) অনুষ্ঠিত স্মরণ অনুষ্ঠানে সেই ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন সমিতির নেতারা।
পরিচালক সমিতির ডিরেক্টরস স্টাডি রুমে দুপুর ১২টায় ছিলো আলমগীর কুমকুম স্মরণে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা। তাকে নিয়ে আলোচনা করেন চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, কাজী হায়াৎ ও মুশফিকুর রহমান গুলজার। এখানে আরও ছিলেন অভিনেতা অমিত হাসান, পরিচালক গাজী মাহবুব, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, এসএ হক অলিক ও আলমগীর কুমকুমের পুত্র রনি।
বক্তারা বলেন, ‘আলমগীর কুমকুম আমাদের সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে তার তিনটি মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা কিছুই করতে পারিনি। এর দায় আমাদের। ’
১৯৪২ সালের ২২ জানুয়ারি জন্মেছিলেন আলমগীর কুমকুম। ১৯৬৮ সালে মামা পরিচালক ইআর খানের ‘চেনা অচেনা’ ছবির সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। এরপর ‘রূপবানের রূপকথা’ ও ‘মধুবালা’য় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত প্রথম ছবি। চিত্রনায়ক আলমগীরকে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন তিনি।
আলমগীর কুমকুমের ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘স্মৃতিটুকু থাক’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘গুন্ডা’, ‘মমতা’, ‘আগুনের আলো’, ‘কাপুরুষ’, ‘সোনার চেয়ে দামি’, ‘রাজবন্দি’, ‘ভালোবাসা’, ‘রাজার রাজা’, ‘কাবিন’, ‘শমসের’, ‘রকি’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘অমর সঙ্গী’, ‘জীবন চাবি’।
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন আলমগীর কুমকুম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যুক্ত ছিলেন ছাত্রলীগের সঙ্গে। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আলমগীর কুমকুম। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় ভুগে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান আলমগীর কুমকুম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
এসও/জেএইচ