অকালপ্রয়াত ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী অ্যামি ওয়াইনহাউসের ওপর নির্মিত ‘অ্যামি’ অস্কারে সেরা প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার জিতলো। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৮৮তম আসরে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন এর নির্মাতা ভারতীয় বংশোদ্ভুত আসিফ কাপাডিয়া ও প্রযোজক জেমস গে-রিস।
নির্মাতারা জানান, অ্যামি সত্যিকার অর্থে কেমন ছিলেন এ ছবিতে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রযোজকের মন্তব্য- ‘সুসময় ও দুঃসময়ে যেসব ভক্ত অ্যামির পাশে ছিলেন এ ছবি তাদের জন্য। ’
সেরা প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে ‘অ্যামি’র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো ‘কারটেল ল্যান্ড’, ‘দ্য লুক অব সাইলেন্স’, ‘হোয়াট হ্যাপেন্ড, মিস সিমোন?’ এবং ‘উইন্টার অন ফায়ার: ইউক্রেন’স ফাইট ফর ফ্রিডম’। কিন্তু ‘অ্যামি’ই ছিলো ফেভারিট।
গত বছরের ৩ জুলাই মুক্তি পায় প্রামাণ্যচিত্রটি। অ্যামি ওয়াইনহাউসের পরিবার, তারকাখ্যাতি, মাদকাসক্তিসহ তার ব্যক্তি ও পেশাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায় রয়েছে এতে। অ্যামির অপ্রকাশিত গানের পাশাপাশি আছে কিছু ভিডিও ফুটেজ। সব মিলিয়ে অ্যামির অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও সংগীত প্রতিভার পরিচয় দেওয়াই ছিলো নির্মাতাদের মূল লক্ষ্য। আসিফ কাপাডিয়ার দাবি, ‘অ্যামি ওয়াইনহাউস সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়েছে এ ছবি, এখানেই আমাদের সার্থকতা। ’
মাত্র ২৭ বছরের জীবনে অ্যামি ওয়াইনহাউস পেয়েছিলেন পাঁচটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া তার প্রথম অ্যালবাম ‘ফ্রাঙ্ক’ ইউরোপজুড়ে সাড়া ফেলে। ২০০৬ সালে নিজের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ব্যাক টু ব্ল্যাক’ প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেন অ্যামি।
মাদকাসক্তি ও উদ্দাম জীবনযাপনের কারণে আলোচিত-সমালোচিত হন অ্যামি। অতিরিক্ত মদ্যপান করে অসংযত কীর্তি-কলাপ, মাতাল অবস্থায় মঞ্চ পরিবেশনার মতো কাণ্ড ঘটিয়ে ২০০৭ সাল থেকে সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত খবরের শিরোনাম হতেন তিনি। নিষিদ্ধ মাদকসহ ধরা পড়ায় জেলেও যেতে হয়েছে তাকে।
২০১১ সালের ২৩ জুলাই নর্থ লন্ডনের কেমডেনের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অ্যামি ওয়াইনহাউসকে। মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ক্ষণজন্মা এ শিল্পী। ময়নাতদন্তে তার রক্তে মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ