ফোন কিংবা ফেসবুক ইনবক্সে এখন একটাই আলাপ- ‘টিকেট আছে? একটা টিকেট হবে?’ জবাবও মুখস্থ হয়ে গেছে, ‘নাই!’ তাই টেলিভিশন ধোয়া-মোছা চলছে। এই যন্ত্রই এখন অনেকের ভরসা।
শোবিজ অঙ্গনের অনেকের ‘নেশা’ স্টেডিয়ামে বসে খেলা উপভোগ করা। বরাবরের মতো এবারও তারা থাকবেন মাঠে। কিন্তু সোনার হরিণ টিকেট পেয়েছেন খুব কম তারকাই।
এশিয়া কাপ টি২০ ফাইনালের টিকেট নিয়ে হাহাকার তৈরি হওয়ায় স্টেডিয়াম হয়ে উঠবে একেকটি শুটিংস্পট, স্টুডিও কিংবা তারকাদের ড্রয়িংরুম।
খোঁজ নিয়ে দেখা যাক কে কোথায় খেলা দেখছেন আজ-
কুমার বিশ্বজিৎ খেলা দেখবেন বাসায়, টিভিতে। তিনি মাঠে গেলে ছেলে নিবিড়কে নিয়েই যান। এবার তা হচ্ছে না। জনপ্রিয় এই শিল্পী জানান, টিকেটের খোঁজে অনেকেই তাকে ফোন করেছেন। তিনিও খোঁজ নিয়ে দেখেছেন যে, টিকেটের ক্রাইসিসের বিষয়টি সত্য।
ফাহমিদা নবীর ইচ্ছে ছিলো স্টেডিয়ামে যাবেন। কিন্তু তিনিও পারছেন না। কারণ গত ৪ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ছেড়েছেন। যাওয়ার আগে ঠাট্টার ছলে জানিয়েছিলেন, দেশে থাকলে হয়তো তাকেও টিকেট না পাওয়াদের দলে থাকতে হতো!
সংগীতশিল্পী শফিক তুহিন বলেন, ‘টিকেট পাওয়া না পাওয়া নিয়ে চারদিকে মজার মজার ঘটনা ঘটছে। সব উপভোগ করছি। কষ্টের কথা শেয়ার করে কষ্ট বাড়াতে চাই না। টিকেট পাবো- এই বিশ্বাস নিয়ে খেলার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। ’
অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ গত খেলায়ও ছিলেন মাঠে। এ কারণে প্রচুর ফোন পেয়েছেন তিনি। এই অভিনেত্রী ফাইনাল ম্যাচটা মাঠে বসে দেখতে পারছেন না। একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের জন্য ঢাকার বাইরে আছেন তিনি। মাঠে না থাকলেও টাইগাররা যে জয় ছিনিয়ে আনবে এটাই তার বিশ্বাস।
সংগীতশিল্পী কিশোর দাস বলেন, ‘এখনও টিকেট পাইনি (সকাল সাড়ে ১১টা)। স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এ অবস্থায় আজ যেতে না পারলে একটু খারাপই লাগবে। স্টেডিয়ামে যেতে না পারলে নিজের স্টুডিওটাকেই স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলবো। বন্ধুদের বলে রেখেছি, টিকেট না পেলে আমার স্টুডিওর দরজা খোলা আছে। ’
সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার খেলা দেখবেন স্টেডিয়ামে বসে। তার বক্তব্য, ‘স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি পেলেই হলো। কোন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছি এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় আমার কাছে। বোঝার বয়স থেকে আমি স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখছি, দেশকে সমর্থন করছি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। খুব কষ্টে একটা টিকেট পেয়েছি। ’
সংগীতশিল্পী বেলাল খান মাঠে খুব কমই যান। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাসায় খেলা উপভোগ করবেন। ফাইনাল খেলা বলে বাসায় আমন্ত্রণ জানাবেন কয়েকজন বন্ধুকে। সবার মতো তারও একটাই প্রত্যাশা, বাংলাদেশ জিতবে।
সংগীতশিল্পী তপু চাকরি করেন। অফিস শেষে সোজা বাসায় চলে আসবেন তিনি। ঘরে ফেরার পর খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিভি সেটের সামনে থেকে এক চুলও নড়বেন না বলে জানালেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
এসও/জেএইচ