‘আমাদের সময়ে ছেলেতে মেয়েতে কথা বলা নিষেধ ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও কোনো ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রক্টরের লিখিত অনুমতি লাগতো।
এমন আটজন নারীর উপস্থিতিতে বুধবারের (৮ মার্চ) সন্ধ্যাটি হয়ে উঠেছিলো আলোকিত। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির উদ্যোগে ‘জয়া আলোকিত নারী ২০১৬’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান হলো চতুর্থবারের মতো। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই আয়োজন ঘিরে হাজির হয়েছিলেন পুরস্কারপ্রাপ্ত আট নারীসহ রাজনৈতিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনের শিল্পী-কুশলীরা।
রওশন আরা বাচ্চুর মতো সাহসী নারীরা এগিয়ে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখতে পেরেছেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। বাংলা গানে বিশ্বজয় করেছেন রুনা লায়লা। বাংলা সাহিত্যে সুনাম অর্জন করেছেন নাসরীন জাহান।
তাদের মতোই আলোকিত নারী জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ, নারী উদ্যোক্তা গোলাপ বানু, ক্রীড়াবিদ মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও মাহফুজা খাতুন শীলা। একই অনুষ্ঠানে তারা পেয়েছেন ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা ক্রেস্ট।
অনুষ্ঠানে সুচন্দার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন কবি আসাদ চৌধুরী ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। ‘আরটিভি জয়া আলোকিত নারী ২০১৬’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় স্পিকার বলেন, ‘নারীরা নিজেদের মেধা ও মনন নিয়ে এগিয়ে চলছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নারীর এই অগ্রযাত্রায় তিনি সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ’
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ প্রমুখ। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে ছিলো নাচ ও সংগীত পরিবেশনা।
বাংলাদেশ সময় : ০৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
এসও/জেএইচ