‘আমি সত্যিই সম্মানিত ও অভিভূত জনাব অরিজিৎ সিং! সংগীতশিল্পী যে দম্ভ ছাড়াও হতে পারে তা দেখিয়ে দিলেন, আপনি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। প্রতিযোগিতার বালাইও নেই আপনার মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন্স আয়োজিত ‘অরিজিৎ সিং উইথ সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ উপভোগ করে থাকলে হাবিবের এসব কথা বলার কারণ বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কারও।
প্রায় দু’ডজন গান শোনানোর পর অরিজিতের মনে হলো এবার একটু জিরিয়ে নেওয়া যাক! এটাও বোধহয় নিজের ইচ্ছায় করেননি, আয়োজকদের ফ্লোর দেওয়াই ছিলো মূল উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় সংগীতের এই সেনসেশন মঞ্চে এলেন ভিন্ন আমেজ নিয়ে।
শুরু থেকেই ঠোঁটে ঠোঁটে ফেরা নিজের জনপ্রিয় গানগুলো নতুন সংগীতায়োজনে শোনাচ্ছিলেন অরিজিৎ। সিম্পনি অর্কেস্ট্রা নিয়ে মঞ্চে উঠেছেন, সঙ্গে আছে নিজের ব্যান্ড, মুন্সিয়ানা দেখালেন তাদের নিয়ে।
নিজের গান গাইতে গাইতে যখন একঘেঁয়েমি এলো, বিরতির পর তাই পিয়ানো বাজাতে শুরু করলেন অরিজিৎ। পুরো অর্কেস্ট্রা দল তখন চুপ। শুধু কী পিয়ানো? হঠাৎ ভেসে এলো রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বিখ্যাত সেই গানের সুর- ‘ভালো আছি ভালো থেকো/আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো…’। অরিজিৎ গাইছেন, তার সঙ্গে এই গানে গলা মেলাবেন না- এমন কেউ বোধহয় স্টেডিয়ামে ছিলেন না!
বাংলাদেশে এর আগেও এসেছেন, গেয়েছেন অর্ণবের ‘সে যে বসে আছে’ আর তপুর ‘এক পায়ে নূপুর’। শিল্পী হিসেবে এমন উদারতার জন্য পেয়েছেন বাহবা। এবারও তার কণ্ঠে শোনা গেলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওই দুটি গান। বাড়তি মাত্রা যুক্ত করেন আরেকটি গানে। হাবিব ওয়াহিদের ‘বাহির বলে দূরে থাকুক’ গানটিও পরিবেশন করেছেন অরিজিৎ। মাদকতা ভরা কন্ঠ আর পিয়ানোর সুরে এ গানে তার সঙ্গে আরেকবার আন্দোলিত হয়েছে পুরো স্টেডিয়াম।
সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ নিশ্চয়ই সরাসরি উপভোগ করেছিলেন অরিজিতের কনসার্ট! তাই গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পাতায় ভারতের এই সংগীতশিল্পীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
* অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠে হাবিবের গানের ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময় : ১০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
এসও/জেএইচ